পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিন্দিমের নীচে SGS মাসিমাকে বুড়ী বল্লাম বটে। কিন্তু তিনি সত্যিকার বুড়ী এখনও ঠিক নন। যৌবনে তিনি সুন্দরী ছিলেন। আমি যখনকার কথা বলচি তখনও তিনি তত মোটা হন নি, বেশ দোহারা, সুঠাম চেহারা, ফস রং, বড় বড় চোখ। মাথার চুল কেবল ছোট ক’রে ছেটেছিলেন বিধবা হওয়ার পর। দেহে জরার আক্রমণের কোনো চিহ্ন তখনো স্পষ্ট ওঠে নি। তার ওপর মাসিমা ছিলেন গ্রাম্য জমিদারের ঘরের বধূ। চাল চলনে একটা সেকেলে বনেদি ও স্পৰ্শ-ভীরু ঈষৎ গর্ব্বিত আভিজাত্য সদা-সর্বদা বর্ত্তমান থাকতো। মাসিমা তাচ্ছিল্যের স্বরে বল্লেন-কে ? ও সেই পাগল ঠাকুর-হঁ্যা, বেঁচে আছে। কেন, তার খোজে তোমার কি দরকার ? এখানে “তোমার” কথাটার প্রয়োগ যে বিরক্তি সুচক তা আমার বুঝতে দেরী হোল না । মাসিম জমিদাবের বাড়ীর বীে। তঁর বোনপো যে তঁদেরই গ্রামের এক ছোট জাতের “গুৰুর সঙ্গে মিশবে এটা তার ভাল লাগলো না । অবিশ্যি এটুকুও বলা উচিত যে, তঁরা নামেই তখন জমিদার, কিছুই ছিল না। তখন, সংসারে বিষম টানাটানি চলছিল, তাও জানতাম। নতুবা নন্দ জমিদারের ছেলে হয়ে কঁাটােদ’র হাট থেকে বেগুন বয়ে আনবে কেন ফি হাটে ? মাসিমার প্রশ্নের জবাব দিলাম-আমার কোনো দরকার নেই। সেখানে । সেবার আলাপ হয়েছিল, তাই বেঁচে আছে কি না জানতে চাইচি । --বঁচিবে না তো যাবে কোথায় ? - ८गव्īl छ्ग्न ? —পাগল ঠাকুরের মেল ? কেন হবে না, যত বেটা বুনো বাগিদার গুরুদেব, শুধু ব্যাটার৷ এসে পায়ের ধূলো নেয়, হৈ হাল্লা করে। বঁটা মারে!!! গুরুগুরু ! গুরু এমনি গাছের ফল। কিনা ! আমি কিন্তু বিকেলেই পাগলঠাকুরের বাড়ী গিয়ে হাজির। সেবারকার সেই প্রথম দর্শনের স্মৃতি আমার বালক-মনে একটি রহস্যজনক স্থান অধিকার