পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিন্দিমের নীচে 〉を○ পাগল ততক্ষণ একতার। বাজিয়ে গান সুরু করে দিয়ে চে ও আমার হদ-কমলের পরম গুরু সাই, রেতে আলো দিনে তারা রাত নাই দিন নাই । তোমার সেথা বঁাশের ঝাড়ে অরূপ রূপের পাথার পাড়ে বঁাশের ফুলে ভুবন আলো দেখতে এলাম। তাই । চলার পথে বাদল দিনে তোমার সেই বঁশতলাতে দিও ঠাই, ও আমার হৃদ-কমলের গরম গুরু সাই•••: সেই ছেলেবেলার শোনা গানটা • • •ওর গান গাওয়ার ধরণটা আমার বেশ লাগে। চোখ উন্টে উদাস নেত্রে ওপর পানে চেয়ে— সে ভাবই আলাদা । গলা ভাল নয়, ভাঙা গলা, দুটো বেসুরে সুরা যেন গলা থেকে বেরিয়ে আসচে-তাই কি, চোখ দিয়ে যখন ওরা দরদীর জল নেমে এল, তখন আমাদের গ্রামের বিখ্যাত যাত্রার জুড়ি দাসু পরামাণিকের চেয়েও ওকে সুকণ্ঠ বলে মনে হোল । আরও একটা, তারপর আর একটা । সারাটির চরে ঝিঙেফুল ফুটেছিল সেবার, ঝিঙে ফুলের হলুদক্ষেত আর পাগল ঠাকুরের গানের {্যাপাটে সুর একতারে বাধা। ধুধু সরাটির চরে, নির্জন সারাটির চরে ঘুলি ঘুলি আধা অন্ধকারে কেউ ঝিঙের ফুল ফুটতে দেখেছিলে ত্রিশ বছর আগের এক ভাদ্র সন্ধ্যায় ? তা হোলে পাগল ঠাকুরের গান বুঝতে পারবে । আমি এক মনে শুনচি। হঠাৎ গান থামিয়ে ও বল্লে-কি খাব ? --কিছু না । -সে বল্লেী হবে কেন ? আমারে পেরসাদ দেবে এখন কে ? -আমি খেতে আসিনি তোমার কাছে । তোমাকে দেখতে এসোচি । পাঁচ বছর পরে এলাম ।