পাতা:অসাধারণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

80 অসাধারণ র্তার দাঁত এখনো অটুট আছে। দাতেই নাকি যৌবন, তিনি মনে মনে ভারেন এবং পাঁচ জনকে বলেও বেড়ান। নিজের কাছে এই সত্যটা প্রমাণ করবার জন্যে তিনি মাঝে মাঝে পার্কে নির্জনে বসে চানাচুর ডাল-বাদাম-ভাজা কিনেও খেয়ে থাকেন। --এই, কি দিচ্ছিস ও ? দু’টো ডাল-ভাজা বেশি করে দিস। টাকার ভাঙনি নেই ? ব্যাটারা সব ডাকাত । চার পয়সার ডাল বাদাম নিলাম, বলে কি না। টাকার ভাঙনি নেই! এই নে—যা- বেশ জায়গা করেচে। এই লেক । এই বেঞ্চিখানা বড় ভালো লাগে। মাঝে মাঝে এখানে এসে বসেন । নির্জনে বসে থাকতে ও ভাবতে বেশ লাগে । বাড়ীতে বড় গোলমাল, বসে ভাববার সময় নেই। ভাববার কথা অনেক কিন্তু বাইরের ঘরে ছেলে ও নাতিদের পড়ার মাস্টার এসে গিয়েচে এতক্ষণ-সুমিতার ঘরে সুমিতার বন্ধু অলোকা ও ডাক্তার বাবুর নাতনি বেলা এসে গিয়েচে । অত গুজৰি-গুজৎ ফুস ফুস কেন ? সুমিতার মাথা বিগড়ে দেবে ওই ডাক্তার বাবুর ধিঙ্গী নাতনীটা । কমিউনিস্ট ! সেদিন কোথা থেকে একটি গাদা ওই সব কমিউনিস্ট বুই-পত্তর সুমিতার বিছানায় । আজকাল কি যে হচ্চে দেশে ! মেয়েছেলেদের মধ্যেও কি না। ওই সব ! এই তো গেল বাইরের ঘরের কথা। যদি বাইরের বারান্দায় বেতের চেয়ারে বসবেন, তবে আমনি প্রতিবেশী বৃদ্ধ ভুবন বাবু এসে জুটবে। -এই যে রায় বাহাদুর। বসে আছেন নাকি ? তামাক খাবেন না সকালবেলা ? আজি কাগজ দেখেননি। এখানে-ওকিনাওয়ার ব্যাপারটা দেখেচোন ? ঘোল খাইয়ে ছাড়লে আমাদের বাবাজিদের। চা ?--তা হয় হােক, ख्या°iद्धि ८नशै । নয়তো অবিনাশ দালাল এসে বলবে-রায় বাহাদুর, কেমন আছেন ? বেশ, ভালো ভালো। শুনে খুশি হোলাম। আর আমাদের এখন-ইয়ে, একটা