পাতা:অহল্যা হড্‌ডিকার জীবন বৃত্তান্ত.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

brう মাই, পরস্পর উভয়েই উভয়ের আন্তরিক প্রীতিভাজন ও মনোরঞ্জন হইয়া ছিল। ধনাঢ্য হড়িক দিল্লী সহরে গমন করিয়া প্রতিপত্ত্বি লাভের আশয়ে একটি অতি উত্তম অট্টালিকা ভাড়া লইয়াছিল, তাহার পশ্চাৎ এবং সম্মুখভাগে সুমনোহর বারাগু ও পুষ্পে দ্যান থাকাতে সন্ধ্যাকালে মন্ত্রিপুত্র এবং অহল্য মুন্দরী ঐ স্থানে দণ্ডায়মান হইয়া পরম সুখে কথোপকথন করিতেন । এক দিন হঠাৎ ঐ যুব মুসলমান অহল্যাকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, প্রিয়তমে ! যদি কোন কার্য্য বশতঃ তোমার নিজ জনক জননীকে পরিত্যাগ করিতে হয়, তৰে তুমি আপনাকে সুখী বোধ কর কি না ? অহল্যা । পিতা মাতাকে পরিত্যাগ করিতে হয় এমন কোন কারণই দেখি না । - উজীর পুত্র । প্রিয়তমে ! স্থিরভাবে বিবেচনা করিয়া প্রত্যুত্তর কর, যাহা মনে উদয় হয় তাহাই বলিও না । অহল্য । আমি তোমাকে মিথ্যা কহিতেছি না, স্থিরভাবে বিবেচনা না করিয়া কোন মনুষ্যেরই কথা কওয়। উচিত নয় । সামান্য ঐহিক মুখের প্রত্যাশায় আমি পরমহিতৈষী পিতা মাতাকে কেন পরিত্যাগ করিব । উর্জরপুত্র । ভাল, অহল্যে! যদি তোমার বিবাহ হয়, তrবতে র্তাহাদিগকে তোমায় পরিত্যাগ করিতে হুইবে । অহল্যা । কেন ? জনক জননী আমার সঙ্গের সঙ্গী, আমি যেখানে যাইৰ ভঁাহারাও সেইখানে যাইবেন । উজীরপুত্র । , ভোমার ইচ্ছায় সকল কর্ম্ম সম্পন্ন হইবে না, যদি তোমার স্বামী ভ়াহাদিগের সহিত সহবাস করণে