পাতা:আকাশ-প্রদীপ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/২৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
আকাশ-প্রদীপ


 ছড়া-বাঁধা চতুর্দোলা চলেছিল যে-গলি বাহিয়া
 চিহ্নিত করেছে মোর হিয়া
 গভীর নাড়ীর পথে অদৃশ্য রেখায় এঁকেবেঁকে।
 তারি প্রান্ত থেকে
 অশ্রুত সানাই বাজে অনিশ্চিত প্রত্যাশার সুরে
 দুর্গম চিন্তার দূরে দূরে।
 সেদিন সে কল্পলোকে বেহারাগুলোর পদক্ষেপে
 বক্ষ উঠেছিল কেঁপে কেঁপে,
 পলে পলে ছন্দে ছন্দে আসে তারা আসে না তবুও,
 পথ শেষ হবে না কভুও।


সেকাল মিলালো। তারপরে, বধূ-আগমন গাথা
 গেয়েছে মর্মরচ্ছন্দে অশোকের কচি রাঙা পাতা;
 বেজেছে বর্ষণঘন শ্রাবণের বিনিদ্র নিশীথে;
 মধ্যাহ্নে করুণ রাগিণীতে
 বিদেশী পান্থের শ্রান্ত সুরে।
 অতি দূর মায়াময়ী বধূর নূপুরে
 তন্দ্রার প্রত্যন্ত দেশে জাগায়েছে ধ্বনি
 মৃদু রণরণি।
 ঘুম ভেঙে উঠেছিনু জেগে,
 পূর্বকাশে রক্ত মেঘে
 দিয়েছিল দেখা
 অনাগত চরণের অলক্তের রেখা।

১৩