এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
আকাশ-প্রদীপ ঘরে যার নাম মুনয়নী, আমি যাকে ডাকি শুনায়নী বলে। ওকে আমার কবিতা শোনাবার দাবি সকলের আগে । আমি বললেম, “সুরসিকে, খুশি হবে না, এ গদ্য কাব্য ॥” কপালে ভ্রকুঞ্চনের ঢেউ খেলিয়ে বললে, “আচ্ছা তাই সই।” সঙ্গে একটু স্তুতিবাক্য দিলে মিলিয়ে, Ö বললে, “তোমার কণ্ঠস্বরে গছে রং ধরে পদ্যের ।” ব’লে গলা ধরলে জড়িয়ে । আমি বললেম “কবিত্বের রং লাগিয়ে নিচ্ছ কবিকণ্ঠ থেকে তোমার বাহুতে।” সে বললে, “অকবির মতো হোলো তোমার কথাটা ; কবিত্বের স্পর্শ লাগিয়ে দিলেম তোমারই কণ্ঠে, হয়তো জাগিয়ে দিলেম গান ।” শুনলুম নীরবে, খুশি হলুম নিরুত্তরে। মনে মনে বললুম, প্রকৃতির ঔদাসীন্ত অচল রয়েছে অসংখ্য বর্ষকালের চূড়ায়, তারি উপরে একবারমাত্র পা ফেলে চলে যাবে