পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (তৃতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পতিপরায়ণতার একশেষ।

তদীয় সেনাপতিগণ শুনিয়া সাতিশয় সন্তুষ্ট হইলেন, এবং অবিলম্বে প্রস্থান করিবার উদেযাগ দেখিতে লাগিলেন।

 এই সংবাদ শ্রবণে সন্দিহান হইয়া, ডিযুকের পত্নী মনে মনে বিবেচনা করিতে লাগিলেন, আমার স্বামী সম্রাটের সম্পূর্ণ বিপক্ষতাচরণ করিয়াছেন, এক্ষণে তিনি যে সহসা এরূপ সৌজন্যপ্রদর্শন করিতেছেন, উহা, বোধ হয় বাস্তবিক নহে, ইহাতে কোনও গূঢ় অভিসন্ধি আছে, হ্য়ত আমরা দুর্গ হইতে নিষ্ক্রান্ত হইলে, আমাদিগকে আক্রমণ করিবেন। এই সন্দেহভঞ্জনের নিমিত্ত, তিনি আপনার বিশ্বস্ত, বিচক্ষণ, কার্য্যদক্ষ, এক ভদ্র লোককে সম্রাটের নিকট পাঠাইলেন।

 এই ব্যক্তি, রাজসমীপে উপস্থিত হইয়া, নিবেদন করিলেন, মহারাজ, আপনি যে, ভিযুকের প্রার্থনা অনুসারে, দয়াপ্রদর্শন করিয়াছেন, ইহাতে তিনি ও তদীয় অনুচরবর্গ চরিতার্থ হইয়াছেন। ডিযুকের পত্নী আপনকার নিকট আর এক প্রার্থনা জানাইয়াছেন, নিবেদন করি, তিনি বলিয়াছেন, আপনি যে আমার স্বামীর প্রতি ক্ষমাপ্রদর্শন করিয়াছেন, ইহাতে আমরা সকলে চরিতার্থ হইয়াছি, এক্ষণে দুর্গমধ্যে যে সকল সম্ভ্রান্ত স্ত্রীলোক আছেন, তাঁহারা ও আমি দুর্গ হইতে নির্গত হইলে, যাহাতে আমাদের উপর কোনও অত্যাচার না হয়, এবং যাহাতে নির্বিঘ্নে কোনও নিরাপদ স্থানে পঁহুছিতে পারি, এরূপ এক অনুমতিপত্র লিখিয়া দিলে, আমরা নির্ভয়ে প্রস্থান করিতে পারি, আর ঐ অনুমতিপত্রে ইহাও নির্দিষ্ট থাকে, আমরা