পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (তৃতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দয়া ও সৌজন্যের পরাকাষ্ঠা।
৭৫

তাঁহাদের দয়া ও সৌজন্যের একশেষ দর্শনে নিরতিশয় প্রীত হইয়া, আন্তরিক ভক্তিসহকারে অশেষপ্রকারে সাধুবাদপ্রদান করিতে লাগিল।

 অল্প সময়ের মধ্যেই, জাহাজ মাজর্কার বন্দরে উপস্থিত হইল। সেই স্থানে আর একখানি ইংলণ্ডীয় জাহাজ ছিল। উহার অধ্যক্ষ, এই জাহাজে আসিয়া কথোপকথন করিতে লাগিলেন। কথায় কথায়, অধ্যক্ষ ও তদীয় সহকারী তাঁহার নিকট তুরুষ্কদিগের বৃত্তান্ত ব্যক্ত করিয়া বলিলেন, আমরা উহাদিগকে বিক্রয় করিব না, স্থির করিয়াছি, আফ্রিকার কোনও নিরাপদ্‌ স্থানে অবতীর্ণ করিয়া দিব। তিনি তাঁহাদের দয়া ও সৌজন্যের বিষয় অবগত হইয়া হাসিতে লাগিলেন, এবং বলিলেন, যদি আপনারা উহাদিগকে বিক্রয় করেন, প্রত্যেক ব্যক্তিতে দ্বাত্রিংশৎ শত মুদ্রা পাইতে পারেন। তাঁহারা বলিলেন, যদি আমরা এই দ্বীপের সম্পূর্ণ আধিপত্য পাই, তথাপি উহাদিগকে বিক্রয় করিব না।

 কিয়ৎ ক্ষণ কথোপকথনের পর, অপর জাহাজের অধ্যক্ষ প্রস্থান করিলেন। প্রস্থানকালে তাঁহারা তাঁহাকে এই অঙ্গীকার করাইলেন, আপনি তুরুষ্কদিগের বিষয় কাহারও নিকট ব্যক্ত করিবেন না। কিন্তু তিনি সেই অঙ্গীকারের প্রতিপালন না করিয়া স্পেনদেশীয়দিগের নিকট সবিশেষ সমুদয় ব্যক্ত করিলেন। তাঁহারা শুনিয়া প্রতিজ্ঞা করিলেন, যেরূপে পারি, ঐ জাহাজ হইতে তুরুষ্কদিগকে লইয়া আসিব। অধ্যক্ষ ও