পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (দ্বিতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৮
আখ্যানমঞ্জরী

এই উপলক্ষে উহাকে বিলক্ষণ শিক্ষা দিব। এই স্থির করিয়া, তিনি পাঁচ শত টাকার তোড়াটি রাখিয়া দিলেন।

 বিচারের দিন ঐ দুঃখী ব্যক্তি, বিচারপতির নিকট বাটীর দলীল দাখিল করিলেন, কিন্তু অর্থবল নাই, এজন্য ঐ দলীলের প্রামাণ্য প্রতিপন্ন কবিবার নিমিত্ত একটি সাক্ষীরও যোগাড় কবিতে পারিলেন না। এদিকে তদীয় প্রতিপক্ষ, বহুসংখ্যক সাক্ষী দ্বারা ঐ দলীল কৃত্রিম, ইহা প্রতিপন্ন করিবার নিমিত্ত যথেষ্ট চেষ্টা করিতে লাগিলেন। তিনি বিচারপতিকে বলিলেন, যদি এ বাটী উহার হইত, তাহা হইলে অন্ততঃ একজনও উহার পক্ষে সাক্ষী দিতে আসিত। যখন উহার একটিও সাক্ষী নাই, তখন এ বাটী আমার বলিয়া বিচারালয়ে অভিযোগ করা কতদূর অন্যায় হইয়াছে, ধর্ম্মাবতার তাহার বিচার করুন।

 এই কথা শুনিয়া বিচারপতি বলিলেন, ইহা যথার্থ বটে, ও ব্যক্তি আপন অধিকার সপ্রমাণ করিবার নিমিত্ত একটিও সাক্ষী উপস্থিত করিতে পারিতেছে না। কিন্তু, আমি উহার পক্ষে অন্ততঃ পাঁচশত সাক্ষী উপস্থিত করিতে পারি। এই বলিয়া, তিনি প্রতিবাদীর দত্ত পাঁচশত টাকা বহিষ্কৃত করিলেন, এবং বলিলেন, ও ব্যক্তি যে ঐ বাটীর যথার্থ অধিকারী, এই পাঁচশত টাকা তাহা সম্পূর্ণরূপে সপ্রমাণ করিয়া দিতেছে। এ বিষয়ে