আমার আর অণুমাত্র সন্দেহ নাই। ইহা বলিয়া, তিনি যথোচিত ভর্ৎসনা ও ঘৃণাপ্রদর্শন পূর্বওক টাকার তোড়াটি প্রতিবাদীর গায়ে ফেলিয়া দিলেন, এবং বাদী, বাটীর যথার্থ অধিকারী বলিয়া মোকদ্দমার নিষ্পত্তি করিলেন।
যেমন কর্ম্ম তেমনই ফল
ডেন্মার্কের রাজধানী কোপন্হেগ্ন্ নগরে ক্রিষ্টিয়ন্ টূল নামে এক ব্যক্তি ছিলেন। ক্রিস্টোফর্ বোজন্ ক্রেন্জ্ নামে আর এক ব্যক্তি ঐ নগরে বাস করিতেন। ক্রিষ্টিয়ন্ টূলের মৃত্যু হইলে, তিনি তাঁহার সহধর্ম্মিণীকে বলিলেন, কিছুদিন পূর্ব্বে তোমরা স্ত্রীপুরুষে আমার নিকট যে দশ হাজার টাকা ঋণ করিয়াছ, তাহার পরিশোধ কর। ঐ স্ত্রীলোক বলিলেন, আমরা কখনও আপনার নিকট টাকা ধার করি নাই, আপনি ওরূপ কথা বলিতেছেন কেন? তখন তিনি ঐ স্ত্রীলোকের ও তদীয় স্বামীর স্বাক্ষরিত খত দেখাইলেন। খত দেখিয়া ঐ স্ত্রীলোক বলিলেন, এ খত জাল, আমি কখনও এ খতে নাম স্বাক্ষরিত করি নাই।
রোজন্ ক্রেন্জ্, টাকা আদায়ের জন্য ঐ স্ত্রীলোকের নামে নালিশ করিলেন। বিচারপতি, ঐ স্ত্রীলোকের প্রতি ঋণপরিশোধের আদেশপ্রদান করিলেন। স্ত্রীলোক, নিতান্ত নিরুপায় হইয়া, অবশেষে ডেন্মার্কের অধীশ্বর