পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (দ্বিতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সৌজন্য ও শিষ্টাচারের ফল।
১৯

সমীপে উপস্থিত করিলেন, এবং বলিলেন, মহারাজ, এই দুবাত্মা, সতত, আপনকার কুৎসাকীর্ত্তন করে, এক্ষণে ঘটনাক্রমে আমাদের হস্তগত হইযাছে। আমাদের প্রার্থনা এই, এ গুরুতর অপরাধ করিযাছে, তাহার সমুচিত দণ্ডবিধান করুন, এবং, অতপর, যাহাতে আর আপনকাব নিন্দা করিতে না পারে, তাহারাও যথোপযুক্ত উপায়বিধান করুন।

 রাজপুরুষদিগের প্রার্থনা ও উপদেশ শুনিয়া, ফিলিপ্ বলিলেন, তোমরা যে উপদেশ দিতেছ, তদনুযায়ী কার্য কবা, সর্ব্বতোভাবে উচিত ও আবশ্যক। এই রাজবাক্য শুনিয়া, সন্নিহিত ব্যক্তি মাত্রেই মনে কবিয়াছিলেন, রাজাজ। তাহারে কারাগাবে রুদ্ধ করিবেন, এবং অবশেষে, তাহার প্রাণদণ্ডের আদেশ দিবেন। কিন্তু, তিনি তাহাকে নিকটে আনাইয়া, যথেষ্ট সমাদরপূর্ব্বক, আপন সম্মুখে বসাইলেন, এবং তাহার নিজের ও পবিবারবর্গের কুশল জিজ্ঞাসা করিয়া, বন্ধুভাবে কিয়ৎক্ষণ, কথোপকথন করিলেন। এইরূপে, যথোচিত শিষ্টাচার ও শিষ্টালাপের পর, বহুমূল্য উপহাব দিয়া, তিনি তাহাকে বিদায় দিলেন।

 আর্কেডিয়স্ ভাবিয়াছিলেন, ফিলিপ্ তাঁহার প্রথমতঃ যথোচিত শান্তি ও অবশেষে প্রাণদণ্ড করিবেন, কিন্তু