পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (দ্বিতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
যথার্থবাদিতা ও অকুতোভয়তা।
৩০

  তাঁহার বাক্য সমাপ্ত হইলে, এক অতি প্রধান সম্ভ্রান্ত লোক দণ্ডাযমান হইলেন, এবং বলিলেন, রাজসভা ও রণক্ষেত্র রাজাদেব নিমিত্ত নিরূপিত হইয়াছে, বন জঙ্গল তাঁহাদের নিমিত্ত অভিপ্রেত নহে। গৃহস্থ লোক, আবশ্যক কার্যে দৃষ্টি না রাখিয়া, কেবল আমোদে কাল কাটাইলে, তাহাদেরই অনিষ্ট হইয়া থাকে, কিন্তু রাজারা, রাজকার্য্যে জলাঞ্জলি দিয়া, কেবল আমোদে আসক্ত হইলে, দেশস্থ সমস্ত লোকের অনিষ্ট হ্য়, আপনি মৃগয়াস্থলে যে ক্ষমতা প্রকাশ করিযাছেন, তাহা শুনিবার নিমিত আমরা এখানে আসি নাই, কোনও গুরুতব কার্য্যের অনুরোধেই আসিযাছি। মহারাজের প্রজাদের যে ক্লেশ ও দুরাবস্থা ঘটিয়াছে, যদি তাহার প্রতিবিধানে মনোযোগী ও যত্নবান্ হন, তবেই তাহারা আপনকাব অনুগত ও আজ্ঞাবহ হইয়া থাকিবে, নতুবা—এই পর্যন্ত শুনিয়াই ক্রোধে অধৈর্য্য হইয়া, রাজা বলিলেন, নতুবা কি করিবে? রাজার ক্রোধ দর্শনে, কোনও অংশে শঙ্কিত না হইয়া, সেই সম্ভ্রন্ত ব্যক্তি দৃঢ়বাক্যে বলিলেন, নতুবা, তাহারা রাজধর্ম্ম প্রতিপালন করেন, এরূপ কোনও ব্যক্তিকে সিংহাসনে বসাইবার চেষ্টা দেখিবে।

 এই কথা কর্ণগোচর হইবামাত্র, এলনজোর কোপানল প্রজ্জ্বলিত হইযা উঠিল। তখন তিনি, তোমরা আমার যে