পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (দ্বিতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কৃতজ্ঞতার পুরস্কার
৫৭

তদীয় আদেশ অনুসারে, তিনি রাজসভায আনীত হইলে, ইংলণ্ডেশ্বর, সাতিশয় রোষপ্রদর্শন পুরঃসর, কর্কশ বচনে বলিলেন, তোমার এত বড় আস্পর্দ্ধা যে, তুমি এক রাজবিদ্রোহীকে আপন আলয়ে লইয়া গিয়া, আমোদ আহলাদ করিতেছ। বাজার রোষ দর্শনে কিঞ্চিম্মাত্র ভীত বা চলচিত্ত না হইয়া, তিনি অতি বিনীত বচনে নিবেদন করিলেন, মহারাজ, আমি আপন আলয়ে লইয়া গিয়া কার্ডিনেলের যে পরিচর্য্যা করিতেছি, রাজভক্তির অসদ্ভাব তাহার কারণ নহে, আমি তাঁহার নিকট অশেষ প্রকারে যে প্রভূত উপকার প্রাপ্ত হইয়াছি, ইহা কেবল তজ্জন্য সামান্য কৃতজ্ঞতাপ্রদর্শন মাত্র।

 এই হেতুবাদ কর্ণগোচর হইলে, ইংলণ্ডেশ্বর, অধিকতর কুপিত হইয়া বলিলেন, সে আবার কি? ইংলণ্ডেশ্বর, উত্তরোত্তর, অধিকতর কুপিত হইতেছেন দেখিয়া, পাছে তিনি তাহাঁকে রাজভক্তিহীন ভাবেন, এই ভয়ে ও ভাবনায় অভিভূত হইয়া, ফিটজ্ উইলিয়ম, অঞ্জলিবন্ধন পূর্ব্বক, অশ্রুপূর্ণ লোচনে, বিনীত বচনে বলিলেন, মহারাজ, আমি সামান্য অবস্থার লোক হইয়াও, বিলক্ষণ ঐশ্বর্য্যশালী হইয়াছি, কার্ডিনেলের অনুগ্রহ ও সহায়তা ব্যতিরেকে, কখনই আমার এ উন্নত অবস্থা ঘটিত না; সুতরাং আমি তাঁহার নিকটে দুর্ভেদ্য