পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (দ্বিতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নিঃস্পৃহতা।
৬৫

জাণ্ডারের আদেশ অনুসারে, নূতন রাজা তাঁহার সম্মুখে উপস্থিত হইলে, তিনি একদৃষ্টিতে বহুক্ষণ নিরীক্ষণ করিয়া, তাঁহাকে বলিলেন, আমি তোমার স্বভাব, চরিত্র ও বংশমর্য্যাদার বিষয়ে যেরূপ শুনিয়াছি, তোমার আকারে তাহা স্পষ্ট প্রতীয়মান হইতেছে। কিন্তু, তুমি এত দিন কেমন করিয়া, এমন হীন অবস্থায়, কালযাপন করিতে পারিলে, তাহা অবগত হইবার নিমিত্ত, আমার অত্যন্ত অভিলাষ হইতেছে।

 এই কথা শুনিয়া, এব্‌ডেলোনিমস্ বলিলেন, মহারাজ, আমার যখন যাহা আবশ্যক হইযাছে, এই দুই হস্ত তাহার আহরণ করিয়া দিয়াছে, কিন্তু, যখন আমার কিছুই ছিল না, তখন কিছুই আবশ্যক হইত না। এই উত্তর শ্রবণে, আলেগ্‌জাণ্ডার যৎপরোনাস্তি প্রীত ও প্রসন্ন হইলেন, এবং, পূর্ব্বতন রাজার বেশ, ভূষ, শয্যা, আসন প্রভৃতি সমস্ত বস্তু তাঁহাকে দিলেন। তদ্ব্যতিবিক্ত তদীয় আদেশ অনুসারে, পার্শ্ববর্তী প্রদেশ সকল তাঁহার রাজ্যে যোজিত হইল।