পাতা:আখ্যানমঞ্জরী (দ্বিতীয় ভাগ) - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সৌজন্য ও সদ্বিবেচনা।
৮৭

মস্তকে একটী মুকুট অর্পিত হইত। এরূপ অল্পবয়স্ক বালক সর্ব্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট কাব্যের রচনা করিযাছেন, এজন্য সকলে, যৎপুরোনাস্তি আহ্লাদিত হইয়া, তদীয় প্রতিমূর্ত্তি নির্ম্মিত করাইলেন।

প্রকাশ্য স্থানে প্রতিমূর্ত্তি-স্থাপনের দিনস্থির হইল। নিরূপিত সময়ে, বহুসংখ্যক লোক ঐ স্থানে উপস্থিত হইলেন। যাঁহারা কাব্যরচনা করিয়াছিলেন, তাঁহাদের মধ্যেও অনেকে ঐ স্থানে সমাগত হইয়াছিলেন। প্রতিমূর্ত্তি যথাস্থানে সন্নিবেশিত হইল। অনন্তর, প্রধান রাজপুরুষ, প্রতিমূর্ত্তির মস্তকে মুকুটস্থাপনের উদ্যোগ করিতে লাগিলেন। এই সময়ে, বেলিরিয়স্, এক যুবা পুরুষকে দেখিতে পাইলেন। এই যুবাপুরুষ, পুরস্কারপ্রাপ্তির আশয়ে, স্বরচিত কাব্য পাঞ্চবার্ষিক সভায় সমর্পিত করিয়াছিলেন। তাঁহার রচিত কাব্য, অনেকের বিবেচনায়, অত্যুৎকৃষ্ট হইয়াছিল, কিন্তু বেলিরিয়সের রচিত কাব্য অপেক্ষা কিছু নিকৃষ্ট, এজন্য, পুরস্কার না পাওয়াতে, তাঁহার মনে অত্যন্ত ক্ষোভ জন্মিয়াছিল।

 বেলিরিয়স্, তদীয় আকারে ক্ষোভ ও বিষাদের স্পষ্ট লক্ষণ লক্ষ্য করিয়া বুঝিতে পারিলেন, পুরস্কার পান নাই বলিয়া, ইনি এত ক্ষুব্ধ ও বিষণ্ন হইয়াছেন। ফলতঃ, তাঁহার ভাব দর্শনে, তদীয় অন্তঃকরণে অতিশয় দুঃখ উপস্থিত