পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৬ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী কিন্তু শিল্পোন্নতির আগে চাই সাধারণ কেনাবেচার মধ্য দিয়ে ব্যবসা করা। ব্যবসা আরম্ভ করেই কিছু সফল হওয়া যায় না। চেষ্টা চাই, ধৈর্য চাই। কেমিষ্ট্র বা রসায়ন শিখতে হলে যেমন পরীক্ষাগার (Laboratory) চাই, ব্যবসা শিখতে হলেও পরীক্ষাগারের তেমনি দরকার। ক্লাইব স্ট্রট, ক্যানিং ষ্ট্রট, বড়বাজার, এজরা স্ট্রট—এইসব স্থান হচ্চে ব্যবস-শিক্ষার পরীক্ষাগার। এইসব রাস্তায় চোখ চেয়ে ঘুরে ফিরে বাজারের হালচাল বুঝতে হবে। কোন স্থাড়োয়ারী বা যুরোপীয়ান দোকানে স্থবিধা গেলেই কাজ শেখবার জন্তে ভর্ত্তি হতে হবে। কারণ ব্যবসায় কার্ষ্যে শিক্ষানবিশীর বড় প্রয়োজন। এসব ক্ষেত্রে ভূইফোড়ের স্থান নেই, হাতেকলমে কাজ শিখতে হবে, একথা আমি পূর্ব্বেই বলেছি। আমাদের দেশে ৬০° কোটি টাকার মাল আমদানী রপ্তানি হয়। এই আমদানি রপ্তানির কাজ এগিয়ে দিয়ে কলকাতায় ক্ষত যুরোপীয়ান ও মাড়োয়ারী মাঝে থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করে নেয় । আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে পাট হয়। কিন্তু ক্ষেতে থেকে পাটকলে পৌছবার আগে এই পাট অনেক হাত ঘোরে। এই সব middleman হচ্ছেন যুরোপীয়ান বা মাড়োয়ারী বা আবৃমিনি, পূর্ব্বেই বলেছি। এক হাত থেকে জিনিষ নিয়ে অন্য হাতে তুলে দিয়ে এর মাঝথেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন ক’রে থাকেন । কিন্তু যে জমিদার মহাশয়ের জমিতে পাট জন্মায় তিনি ছেলের একটা বড় চাকরীর জন্তে ম্যাজিষ্টর-সাহেবের দ্বারে ধন্ন দিয়ে পড়ে থাকেন—একবার * স্কুলেও চেয়ে দেখেন না যে এরূপে দালালগিরি করলে তার পুত্র কয়েকটা বড় চাকুরে অপেক্ষা বেশী টাকা আনতে পারেন। এরূপ শুধু পাট নয়—ধান, সরিষা, তিসি, ছোলা, গম, যব, প্রভৃতি নানাবিধ ফসল মাড়োয়ারী ও যুরোপীয়ানদের হাত দিয়ে চলে