কিন্তু শিল্পোন্নতির আগে চাই সাধারণ কেনাবেচার মধ্য দিয়ে ব্যবসা করা। ব্যবসা আরম্ভ ক’রেই কিছু সফল হওয়া যায় না। চেষ্টা চাই, ধৈর্য্য চাই। কেমিষ্ট্রী বা রসায়ন শিখ্তে হলে যেমন পরীক্ষাগার (Laboratory) চাই, ব্যবসা শিখ্তে হলেও পরীক্ষাগারের তেম্নি দরকার। ক্লাইব ষ্ট্রীট, ক্যানিং ষ্ট্রীট, বড়বাজার, এজরা ষ্ট্রীট—এইসব স্থান হচ্চে ব্যবসা-শিক্ষার পরীক্ষাগার। এইসব রাস্তায় চোখ চেয়ে ঘুরে ফিরে বাজারের হালচাল বুঝতে হবে। কোন মাড়োয়ারী য়ুরোপীয়ান দোকানে সুবিধা গেলেই কাজ শেখবার জন্যে ভর্ত্তি হতে হবে। কারণ ব্যবসায় কার্য্যে শিক্ষানবিশীর বড় প্রয়োজন। এসব ক্ষেত্রে ভূঁইফোড়ের স্থান নেই, হাতেকলমে কাজ শিখতে হবে, একথা আমি পূর্ব্বেই বলেছি।
আমাদের দেশে ৬০০ কোটি টাকার মাল আমদানী রপ্তানি হয়। এই আমদানি রপ্তানির কাজ এগিয়ে দিয়ে কল্কাতায় কত য়ুরোপীয়ান ও মাড়োয়ারী মাঝে থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জ্জন করে নেয়। আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে পাট হয়। কিন্তু ক্ষেতে থেকে পাটকলে পৌঁছবার আগে এই পাট অনেক হাত ঘোরে। এই সব middleman হচ্ছেন য়ুরোপীয়ান বা মাড়োয়ারী বা আর্মিনি, পূর্ব্বেই বলেছি। এক হাত থেকে জিনিষ নিয়ে অন্য হাতে তুলে দিয়ে এঁরা মাঝথেকে প্রচুর অর্থ উপার্জ্জন ক’রে থাকেন। কিন্তু যে জমিদার মহাশয়ের জমিতে পাট জন্মায় তিনি ছেলের একটা বড় চাক্রীর জন্যে ম্যাজিষ্টর-সাহেবের দ্বারে ধন্না দিয়ে প’ড়ে থাকেন—একবার ভুলেও চেয়ে দেখেন না যে এরূপে দালালগিরি কর্লে তাঁর পুত্ত্র কয়েকটা বড় চাকুরে অপেক্ষা বেশী টাকা আন্তে পারেন। এরূপ শুধু পাট নয়—ধান, সরিষা, তিসি, ছোলা, গম, যব, প্রভৃতি নানাবিধ ফসল মাড়োয়ারী ও য়ুরোপীয়ানদের হাত দিয়ে চ’লে