যায়। এই সব কাজ যদি বাঙালীর নিজের হাতে থাক্ত তবে অন্নসমস্যা আজ এত কঠিন ও জটিল হয়ে উঠ্ত না।
তারপর চামড়া, কেরোসিন তৈল প্রভৃতি জিনিষের আমদানী, রপ্তানি আছে। কল্কাতায় ১০।১৫ কোটী টাকার রপ্তানি হয়। ক্যানিং ষ্ট্রীট দিয়ে নাক বন্ধ ক’রে চল্বার সময় চামড়ার কথা খুব ভালরকমই বোঝা যায়। বাঙালীর কিন্তু যেন প্রতিজ্ঞা—ওসব ছুঁতে নেই। তাই ইংরেজ ও মুসলমান চামড়ার ব্যবসা একচেটে করেচেন। আর ২৫৲ মাহিয়ানায় নৈকষ্যকুলীনের সন্তান মুসলমান প্রভুর আদেশমত কোথায় কত চামড়া পাঠাতে হবে নাকে কাপড় দিয়ে কুলীর দ্বারা গণিয়ে দিচ্ছেন। এইসব চামড়া ব্যবসায়ীরা ক্রোড়পতি! আর এই চামড়া ধান সরিষার মত পল্লীগ্রাম থেকেই আসে,—আমরা কেউ সন্ধান লই না। কাষ্টম্স্ হাউসের (Customs house) ত্রৈমাসিক রিপোর্টে ভারতের আম্দানী ও রপ্তানি দ্রব্যের কথা প’ড়ে দেখলে অনেক অভিজ্ঞতা লাভ করা যায়। কিন্তু আমরা তা চাই না—উপন্যাস আমাদের বড় ভাল লাগে।
আবার ইলিশ ও অন্যান্য মাছের ব্যবসাও খুব লাভজনক। নদীর ধার থেকে বরফ ঢাকা দিয়ে মাছ চালান করা হয়। অনেক হাত ঘুরে মাছ যখন কল্কাতায় পৌঁছায় তখন ৸৵৹ বা ১৲ সের। এরূপ চালানের কাজে বেশ লাভ আছে। তারপর পুকুরে পোনা মাছ ছাড়্তে হয়—নোনা জলে নদীর নোনা মাছ জন্মাবার চেষ্টা কর্তে হয়। এই সব মাছ বড় হলে অর্থাগমের বেশ একটা উপায় হয়। চম্কে উঠো না—আমি তোমাদের মুর্গী ও শূওরের চাষ কর্তে বলি—যাকে বলে Poultry Farm। নিজে দাঁড়িয়ে লোকের দ্বারা কাজ করাবে। একাজেও অর্থোপার্জ্জন বেশ হয়। আর কত নাম আমি কর্ব? তোমরা স্কুলকলেজের ছাত্র। বৎসরে ছয়-সাত মাস ছুটি পাও। ছুটিতে