পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আছন্ন-সনচাসম্ভণ শুভ তাহণৰ সন-চাণপ্রণনঃ ম্যালেরিয়ায় দেশ শ্মশান হইয়াছে। দুই-একটি জেলা ছাড়া সমগ্র দেশে জন্ম হইতে মৃত্যুর আধিক্য । ম্যালেরিয়ার অন্যতম কারণ অন্নাভাব। উদর পূর্ত্তি করিয়া দুবেলা আহার করিবার সৌভাগ্য শতকরা ক’জনের আছে, তাহা তো সকলেই জানেন । মাজ দেশের যেদিকে দৃষ্টিপাত করা যায় সর্ব্বত্র অন্নাভাব ও হাহাকার । এই দুরবস্থা হইল কেন? আজ যে হঠাৎ হইয়াছে, এমন নয়। আজ শত বর্ষ ধরিয়া তিল তিল করিয়া আমরা এই দুঃখ অর্জন করিয়াছি । আমাদের কার্য্যক্ষেত্র সঙ্কীর্ণ-ক্ষুদ্র গণ্ডীর আবেষ্টনে সীমাবদ্ধ। ইংরেজ রাজত্বের প্রারম্ভ হইতে ইংরেজী লেখাপড়া শিখিয়া আমরা কেবল উকীল, মোক্তার, ডাক্তার ও কেরাণী হইতেছি। এ রকম করিয়া জাতি কুতদিন টিকে ? দেশে মামলা মোকদ্দমা যখন আছে, তখন উকীলদের দরকার। ব্যামে পীড়ার প্রকোপ নিবারণকল্পে ডাক্তারও একটা আবশ্বকীয় আপদ। প্রয়োজনের প্রায় বিশগুণ অধিক উকীল স্থষ্ট হইয়াছে এবং প্রবলবেগে আরো স্বল্প হইতেছে । আশু বাবু হোমিওপ্যাথিক বিষে বিষক্ষয় নীতির অনুসরণ করিয়া আরো উকীল তৈরী করিতেছেন। মুসলমান রাজত্বের অবসামে বাঙ্গালী হিন্দু বুৰিয়া লইলেন যে, পাশ পড়িয়া মুন্সী হইলে আর চুলিবে না। তখন উদরামের সংস্থান ও মানসিক

  • টাঙ্গাইল জনসাধারণের নিকট প্রদত্ত মৌখিক বক্তৃতার সারাংশ। খ্রীমান জ্ঞানেন্দ্রনাথ রায়, এম্-এস-সি কর্তৃক অনুদিত ।