পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ন-সমস্যা ও তাহার সমাধান この○" ঢাকা ও টাঙ্গাইল অঞ্চলে যে মাড়োয়ারী আমল পায় নাই তাহার ཟེགས་མ་ এ অঞ্চলের সাহা, তিলি ও তামলি শ্রেণী ইতিপূর্ব্বে ইংরেজী শিক্ষার মোহে আকৃষ্ট হইয়া জাতীয় ব্যবসায় ত্যাগ করেন নাই । ইহাদের মধ্যে প্রকৃত ব্যবসায়বুদ্ধি আছে ; "অন্ন সমস্ত।" সম্বন্ধে বক্তত্ব করিয়া এক বিপদ হইয়াছে যে, দলে দলে ছাত্র আমার কাছে আসিয়া ব্যবসা করা: সম্বন্ধে উপদেশ নিতে চান। ইহারা ভাবেন যে, আমি ডাক্তারের মতে র্তাহাদের নাড়ী টিপিয়া বলিয়া দিব তাহাদের কোন দিকে রুচি। তাহাদের ব্যবসা ফাদিবার যা-কিছু আয়োজন ও সরঞ্জাম সমস্তই "প্রেসক্রিপৃশুন” করিয়া দিতে হইবে—ইহার নিজেরা কিছু ভাধিবৈন না’বা দেখিবেনও না। তাহাদের অনেক সুময় বলি এই সমস্ত সাহা মহাজনদের ওখানে গিয়া দেখিতে, কি করিয়া তাহারা একটা ব্যবসায়কে দাড় করান। মাড়োয়ারীর - হয় ত বাঙ্গালীকে আমল দেয় না, কিন্তু ইহার তো আমাদের স্বজাতীয়। ব্যবসায় করিতে হইলে হে বিপুল মূলধন প্রয়োজন, তাহা এই লোটাকস্থল-সম্বলধারী মাড়োয়ারীদের ক্রমে ক্রমে বাংলাদেশ বিজয়ের ইতিহাস স্মরণ করিলে, অস্বীকার করিতে হয়। সুদূর পল্লীপ্রাস্তে কয়েক গও টাকামাত্র সম্বল লইয়া অনেক মাড়োয়ারী ব্যবসার পত্তন করিয়া কোটী- । ঈতি হইতেছেন। এখন আর শুধু ব্যবসায় নয়, তাহার এবার জমিদারীর আস্বাদ গ্রহণ করিতেছেন। আশঙ্কা হয় আর বিশ বৎসরের মধ্যে বাংল। দেশের অৰ্দ্ধেক জমিদারী তাহাদের আয়ত্তাধীন হইবে, কলিকাতার বিপুল বিভবের খতকুর ৯৫ ভাগ অ-বাঙালীর হইবে। অনেকে বলেন, মূলধনের অভাবই তাঁহাদের ব্যবসাক্ষেত্রে নামিবার প্রধান অস্তুরায় । তাহার ভবেন হাজার কয়েক টাকার তোড়া পাইয়া চৌরঙ্গীতে আফিসবৈদ্যুতিক পাথ, দরোয়ান ইত্যাদি লইয়া বসিতে পারিলেই ব্যবসায়ে কৃতী হইতে পরিবেন । কিন্তু প্রকৃত ব্যবসায়ের কোন খবরই তাহারা রাখেন না ।