দেখি হ্যারিসন্ রোড ও আমহার্ষ্ট ষ্ট্রীট যে-স্থানে মিশিয়াছে সেইখানে এক পানওয়ালার দোকানে লেমনেড, সর্বৎ ও বিড়ী সমেত কত বিক্রী। মাসে তার লাভ থাকে ২০০।২৫০ টাকা। একটা পানের দোকান করিতে কত টাকা মূলধনের প্রয়োজন? আজকাল তো কলিকাতা প্রভৃতি বড় বড় সহরে হাজার হাজার মোটর গাড়ীর আম্দানী হইয়াছে। এর সমস্ত চালক কোন্ জাতীয়? লক্ষ্য করিয়া দেখিলে দেখা যায় পাঞ্জাবীরা প্রায় একচেটিয়া করিয়া লইয়াছে। একজন ড্রাইভার যত বেতন পায় একজন কেরানীর বেতন তত? কলিকাতায় চাকর-বামুন হয় উড়ে নয় খোট্টা। বাঙলা দেশের চক্রবর্ত্তী মহাশয়ের দিন গুজরান করা অসাধ্য হইলে আটআনা বার্ষিকের জন্য রৌদ্রে পাঁচ ক্রোশ হাঁটিয়া উপস্থিত হইবেন, কিন্তু ইঁহাদের কাহারো কাছে কোথায়ও রসুই করার কথা বলিয়া দেখিতে পারেন কি উত্তর এঁরা দেন। এই রকম করায় বাঙলা দেশ হইতে কত অর্থ অ-বাঙালীরা উপার্জ্জন করিয়া নিয়া এ দেশকে নিঃস্ব করিয়া ফেলিতেছে। এই-সমস্ত উড়ে খোট্টা কত টাকা মনিঅর্ডার করে তাহা হিসাব করিলে ঐ কথার সত্যতা সম্যক্ উপলব্ধি হইবে।
ডায়মণ্ড-হারবার লাইনে মগরাহাট প্রভৃতি স্থানে অনেক বিপুল চালের কারবার আছে। সেখানকার বহু আড়তদারের মধ্যে কয়টা দেশীয় লোক? তাহারা আমাদেরই ক্ষেতে ফলা ধান কিনিয়া লক্ষপতি হইতেছেন, আর আমরা ছেলেদের “নমিনেশন” জোগাড় করিবার জন্য নিজেদের সর্ব্বস্ব পরের হাতে সঁপিয়া দিয়া বেড়াইতেছি ম্যাজিষ্ট্রেট জজ সাহেবের কুঠীতে ঘুরিয়া। ইহার প্রধান কারণই শ্রমবিমুখতা। স্বল্পায়াসে কোন প্রকারে দিনাতিপাত করিতে পারিলেই হইল। আমাদের অঞ্চলে কৃষকরা খুব পরিশ্রম করিয়া ধান রোপে। তার পর যখন ধান