পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্নসমস্তা ও তাহার সমাধান >ዓ পাস করিলেই বিপদ ; কেন না তখন রোজগার করার প্রয়োজন হয়। ༈༽ཊ་རྩེ་ দেশের লোক অর্থকরী শিক্ষার জন্য আন্দোলন উপস্থিত করিয়াছেন। সহযোগ-বর্জন আন্দোলন হওয়াতে যে আমরা ভাবিতে আরম্ভ করিয়াছি ইহাই পরম স্বখের বিষয়। 機 দেশের যুবকদের জীবনের নানা ক্ষেত্রে কৃতকার্য্য হইবার পক্ষে ভগ্ন স্বাস্থ্য একটি প্রধান অন্তরায়। প্রতিদিন রৌদ্র বৃষ্টি উপেক্ষা করিয়া কোন প্রকারে ঐকরাশি অখাদ্য বা কুখাদ্য গলাধঃকরণ করিয়ু এই বিদ্যা আহরণ করিতে ৪/৫ মাইল হাটিয়া স্বাস্থ্য ও উদ্যম একেবারে নষ্ট হইয়া যায়। তারপর যখন প্রকৃত প্রস্তাবে জীবনের কর্ম্মক্ষেত্রে প্রবেশ করিতে হয় তখন জীবন্মত অবস্থা লইয়া কোন কৃতকার্য্যতা আশা করা যায় ? তাই বলিতেছিলাম, সকলকেই কি এই শিক্ষা লাভ করিতে হইবে? বিলাতে ৪০ কোটি লোকের মধ্যে ২৫ • • • হাজার" ছাত্র কলেজে পড়ে আর আমাদের দেশেওঁ ৪০ কোটিলোকের মধ্যে প্রায় ২৩০০০ হাজার ছাত্র কলেজে পড়ে। তাই বলিয়া কি জ্যামিতির স্বতঃসিদ্ধের মত আমরা ইংরেজদিগের সমান ? বিলাতে শতকরা ৯৫ জন প্রাথমিক শিক্ষালাভ করে । মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্তে শতকরা দশ-পনেরো জন মাত্র বিশ্ববিষ্ঠালয়ে প্রবেশ করিতে যায়। আমাদের দেশেও সেইরূপ হওয়া উচিত। পিতামাতা সব ছেলেকে উচ্চ শিক্ষা দিবার প্রয়াস করিয়া অযথা সর্ব্বস্বাস্ত হন। তিনজন ছেলের মধ্যে প্রতিভাশালী একটিকে উচ্চশিক্ষা দ্বিবাবু ব্যবস্থা করিয়া বাকী কয়জনকে মাধ্যমিক শিক্ষার মান অবধি পড়াইয়া রুচি অনুযায়ী কোন কাজের মধ্যে দিলে এরূপ, দুরবস্থা হইরে না । ল’ কলেজে তো তিন বছর পড়িতে হয় । তার পর যাত্রার * জুড়ি সাজিয়া বটগাছের তলায় কয়েক বছর ঘুরিয়া বেড়াইতে হয়। সেই কয় বছর যদি কেউ কোন ব্যবসায়ে শিক্ষানবিশ হইয়া প্রবেশ করেন