জাতিভেদ ও বিবাহ সম্বন্ধে অনেক উদার মতাবলম্বী ছিলেন। এস্থলে আমি কেবল দুই একটি উদাহরণ দিতেছি।
“যক্ষ জিজ্ঞাসা করিলেন ‘হে রাজন্ জন্ম বা চরিত্র, অধ্যয়ন বা বিদ্যা কিসের প্রভাবে এক ব্যক্তি ব্রাহ্মণ হইয়া থাকেন, তাহা নিশ্চয় করিয়া বলুন।’
“যুধিষ্ঠির উত্তর করিলেন ‘যক্ষ শ্রবণ করুন। জন্ম বা অধ্যয়ন বা বিদ্যা কিছুই ব্রাহ্মণত্বের কারণ নহে—চরিত্রই ইহার কারণ। ব্রাহ্মণ যত্নের সহিত নিজের চরিত্র রক্ষা করিবেন। যিনি চরিত্র রক্ষা করিতে পারেন, তাঁহার কোনও ক্ষতি হয় না কিন্তু যিনি চরিত্র হারান তিনি বিনষ্ট হন।”
“বেদাঃ বিভিন্নাঃ স্বতয়োর্বিভিন্নাঃ
নাসৌ মুনির্যস্য মতং ন ভিন্নং।
ধর্ম্মস্য তত্ত্বং নিহিত গুহায়াং
মহাজনো যেন গতঃ স পন্থা॥ (ঐ)
“শ্রদ্ধাযুক্ত হইয়া ইতর লোকের নিকট হইতেও শ্রেয়স্করী বিদ্যা গ্রহণ করিবে। অন্ত্যজের নিকট হইতেও পরম ধর্ম্ম লাভ করিবে এবং স্ত্রীরত্ন দুস্কুল হইতেও গ্রহণ করিবে।”
“স্ত্রী, রত্ন, বিদ্যা, ধর্ম্ম, শৌচ, হিতকথা এবং বিবিধ শিল্পকার্য্য—সকলের নিকট হইতে সকলে লাভ করিতে পারে!”
“ধনুমতী হইয়াও কন্যা বরং যাবজ্জীবন গৃহে থাকিবে ইহাও শ্রেয়ঃ তথাপি গুণহীন পাত্রে সমর্পণ করিবে না।”
“দ্বিজাতিগণের প্রথম বিবাহের স্ত্রীই প্রশস্তা। স্বেচ্ছাকৃত পুনর্ব্বিবাহে