পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ-সংস্কার সমস্যা > X > * . আর এতই শ্রদ্ধা অন্তকে ? বাহুবলগত অধুমতার চেয়ে এই ধর্ম্মবুদ্ধিগত অধমত কি আরো বেশি নিকৃষ্ট নয় ? , অল্পকাল হল একটা আলোচনা আমি স্বকর্ণে শুনেচি, তার সিদ্ধান্ত এই যে, পরস্পরের মধ্যে পাকা দেওয়ালের ব্যবধান থাকা সত্বেও এক চালের নীচে হিন্দু মুসলমান আহার করতে পারবে না, এমন কি সেই ৷ আহারে হিন্দুমুসলমানের নিষিদ্ধ কোনো আহার্য্য যদি নাও থাকে। র্যারা এ কথা বলতে কিছুমাত্র সঙ্কোচ বোধ করেন না, হিন্দুমুসলমানের বিরোধের সময় তারাই স্বন্দেহ করেন যে বিদেশী কর্তৃপক্ষেরা এই বিরোধ ঘটাবার মূলে ; এই সন্দেহ যখন করেন তখন ধর্ম্মবিচারে তার বিদেশীকে দগুনীয় মনে করেন । এর একমাত্র কারণ ধর্ণের দাবী নিজের উপরে তাহাদের যতটা, বিদেশীর উপরে তাই চেয়ে অনেক বেশি। স্বদেশে মাহুযে মানুষে ব্যবধানকে আমরা দুঃসহঁরূপে পাকা করে রাখব সেইটেই ধর্ম্ম, কিন্তু বিদেশী সেই ব্যবধানকে কোনো কারণেই কোনো মতেই নিজের ব্যবহারে লাগালে সেটা অধর্ম্ম । আত্মপক্ষে श्र्सगडाटक স্বষ্টি করুব ধর্ম্মের নামে, বিরুদ্ধ পক্ষে সেই দুর্ব্বলতাকে ব্যবহার করলেই সেটাকে অন্যায় বলব । • যদি জিজ্ঞাসা করা যায়, পাকা দেওয়ালের অপর পারে যেখানে মুসলমান খাচ্চে দেওয়ালের এপারে সেখানে হিন্দু কেন খেতে পারে না, তা হলে এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়াই আবশ্বক হবে না। হিন্দুর পক্ষে এ প্রশ্নে বুদ্ধি খাটানো নিষেধ এবং সেই নিষেধটা" বুদ্ধিমান জীবের পক্ষে কত অদ্ভূত ও লজ্জাকর তা মনে উদয় হবার শক্তি পর্যন্ত চলে গেছে। সমাজের বিধানে নিজের বারো আন ব্যবহারের কোনোপ্রকার সঙ্গত কারণ নির্দেশ করতে আমরা বাধ্য নই ; যেমন বাধ্য নয় গাছপালা কীটপতঙ্গ পশুপক্ষী। পলিটিক্সে বিদেশীর সঙ্গে কারবারে আমরা প্রশ্ন