৸৶৹
বিভাগে (Indian Educational Service) গ্রহণ করা আবশ্যক বিবেচনা করেন নাই।
১৮৮৮ সালের আগষ্ট মাসে প্রফুল্লচন্দ্র স্বদেশে প্রত্যাবর্ত্তন করিয়া ভারত-সচিবের উপদেশানুযায়ী কর্ম্মপ্রাপ্তির জন্য বঙ্গীয় গভর্ণমেণ্টের নিকট আবেদন করেন। সুখের বিষয় বঙ্গীয় গভর্ণমেণ্ট তাঁহার প্রার্থনা মঞ্জুর করিয়া তাঁহাকে প্রাদেশিক শিক্ষা-বিভাগে (Provincial Educational Service) গ্রহণ করতঃ গুণগ্রাহিতার কথঞ্চিৎ পরিচয় দিয়াছিলেন। পরবর্ত্তী জুন মাস হইতে মাসিক ২৫০৲ টাকা বেতনে প্রফুল্লচন্দ্রকে প্রেসিডেন্সি কলেজের রসায়ন শাস্ত্রের সহকারী অধ্যাপকরূপে নিযুক্ত করা হয়। এই সময়ে সুবিখ্যাত টনি সাহেব (C. H. Tawney) প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যক্ষ এবং আলেকজান্দার পেডলার সাহেব (যিনি পরে সার হইয়াছিলেন) রসায়নশাস্ত্রের প্রধান অধ্যাপক ছিলেন।
প্রফুল্লচন্দ্র যখন কর্ম্মপ্রাপ্তির জন্য চেষ্টা করিতেছিলেন, তখন সুপ্রসিদ্ধ ক্রফট্ (Croft) সাহেব শিক্ষাবিভাগের ডিরেক্টর। তিনি এই সময় দার্জিলিংএ ছিলেন। ২৫০৲ টাকা বেতনে নিযুক্ত হইয়াছেন শুনিয়া প্রফুল্লচন্দ্র মনের দুঃখে দার্জিলিংএ ডিরেক্টর সাহেবের নিকট ছুটিয়া যান। কিন্তু ডিরেক্টর সাহেব তাঁহার আবেদন সমবেদনার সহিত গ্রহণ না করিয়া বরঞ্চ একটু তীব্রভাবই প্রদর্শন করিয়াছিলেন। তিনি তাঁহাকে স্পষ্ট করিয়া বলিয়াছিলেন—“There are other works in life, who asks you to accept service?”—“চাকুরী ভিন্ন জীবনে অনেক কাজ করিবার আছে, কে তোমাকে চাকুরী লইতে সাধাসাধি করিতেছে?” ডিরেক্টর সাহেবের এই শ্লেষোক্তিতে প্রফুল্লচন্দ্রের আত্মাভিমানে অত্যন্ত আঘাত লাগে এবং তাঁহার চাকুরী