পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৬ জুাচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী প্রচলিত ছিল না । আর্ষ্যের ছিল শ্রেষ্ট,--অনার্য্যের নিকৃষ্ট ব’লে বিবেচিত হ’ত । প্রাচীনকালে অন্য অনেক দেশেই এইরূপ ব্যবস্থা ছিল। পুরাতন বাইবেল অনুসারে ইহুদীরা ছিল ভগবানের সর্বাপেক্ষ প্রিা জাতি ; আর জেন্টাইলার ছিল নিকৃষ্ট, অধম, অস্পৃশু-শিয়াল কুকুরের সামিল । মিশর দেশের পুরাতন জাতির মধ্যেও এরূপ ভেদ ছিল । ১৮৭০ খৃষ্টাব্দের আগে জাপান দেশের সামুরাই বা ক্ষত্রিয়গণ অন্যান্য জাতিকে হীন ব’লে ঘৃণা কর্ত—শিল্পী বা ব্যবসায়ীর সংস্পর্শে আসা লজ্জাকর ব’লে বিবেচনা করত। জাপানের চিন্তাশীল নেতৃবর্গ ইচ্ছা ক’রে চেষ্টা ক’রে ব’লে বুঝিয়ে, ব্যষ্টির বিকাশের প্রধান আম্বরায় এই জাতিভেদ প্রথাকে সমাজ থেকে রহিত ক’রে দিয়েছেন । কিন্তু যে দেশের যেরূপ আকারেই থাক না কেন, আমাদের দেশের মত এম সর্ব্বনাশকারী জাতিভেদ পৃথিবীর কোথাও নেই, কখনও ছিল কি না সন্দেহ ! আমাদের দেশে জাক্তিভেদের পাষাণ-স্তপে নির্ম্মমত। এমন উগ্র হ’য়ে প্রকট হয়েছে যে তার নিঃশ্বাসে উৎকট ঘৃণার গরল অহরহ বাহির হচ্ছে , তার চাপে পতিত জনসজা দলিত ও মথিত হ’য়ে নিতাস্ত অসহায়ের মত একপাশে পড়ে রয়েছে । সর্ব্বপ্রকার বিভেদ ভুলে গিয়ে আপামর সাধারণের কল্যাণকামনায় বুদ্ধ যখন নুতন সত্যের প্রচার আরম্ভ করলেন—সেই প্লাবনের যুগে ব্রাহ্মণাধিকার তিরোহিত হয়ে ভারতবর্ষে সব একাকার হয়ে গেল । সেই ভাববন্ত হতে যে যুগের উদ্ভব হ'ল ভারতবর্ষের সে এক শ্রেষ্ঠ যুগ । নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন বিষ্ঠা ও বিজ্ঞান সর্ব্বসাধারণের জন্তে উন্মুক্ত হ’ল , মগধ সাম্রাজ্য ভারতবর্ষে স্থপ্রতিষ্ঠিত হয়ে মহারাজ অশোকের সময় দেশবাসীকে এক নূতন জীবনের আস্বাদ প্রদান করলে। সে জীবনে জাতিভেদ একপ্রকার বিলুপ্ত হয়ে গেল ; বিবাহাদির