পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৮ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী যে মাত্র পাচজনের বংশ বরাবর সোজাসুজি চ’লে এসে নব্যবাংলায় এই ১৩ লক্ষ ব্রাহ্মণের উৎপত্তি হ’ল ! নানা জাতির মেলামেশা অনেকদিন ধরেই হয়েছে—এই আমাদের প্রতিপাদ্য,—তাই এসব ঘটনার উল্লেখ করছি। রিসলি প্রভৃতি নৃতত্ত্ববিদের মতে অনেক নূতন নূতন অনার্য্যজাতি হিন্দুসমাজের পাশে বসবাস করতে করতে ক্রমে হিন্দু হ’য়ে গেছে। পাচ ছয় শত বৎসর পূর্ব্বে আসামে অহোম নামে এক রাজবংশ ছিল । তারা প্রথমে ছিলেন মঙ্গোলীয় ; তাদের আদিবাসভূমি ছিল শু্যামদেশ । কিন্তু ক্রমে ক্রমে হিন্দুর আচার ব্যবহার গ্রহণ করে তারা অবশেষে হিন্দু এবং ক্ষত্রিয় ব’লে পরিচিত হলেন। সুতরাং দেখুন আমরা যে জাতি জাতি বলে চীৎকার ক’রে থাকি এবং কারও স্পশে কারও বা জলগ্রহণে জাত গেল ভেবে প্রমাদ গণি, তার মূলে প্রকৃত সত্যপদার্থ কিছু আছে অথবা তার ভিত্তি একটা প্রকাগু কুসংস্কারের উপর-ঘা কোন কালেই যুক্তি ব: বিচারসহ নহে ? তারপর আমাদের এই বাংলাদেশের কৌলিন্য প্রথার কথ। ধর যাক । বল্লালসেনের সময় এই প্রথার প্রচার হয় । নবধ কুললক্ষণম — কুলীন হতে হ’লে আচার বিনয় বিদ্যা প্রভৃতি নয়টি সংগুণের অধিকারী হ’তে হয় । গুণের উপর কৌলিন্যের প্রতিষ্ঠা হ’লেও এই মর্য্যাদার অধিকারী হলেন একমাত্র ব্রাহ্মণের ; যেন গুণরাশি ব্রাহ্মণেরই একচেটে, আর, ব্রাহ্মণেতর সকল জাতিই একবারে নিগুণ কিন্তু জিজ্ঞাসা করি, গুণ কি বাস্তবিকই বংশপরম্পরাগত হয় অথবা বিদ্যাশিক্ষা ও পারিপাশ্বিক ঘটনাবলির উপর গুণের বিকাশ যথেষ্ট পরিমাণে নির্ভর করে ? কথাটা এতই সোজা যে স্কুলের ছোট ছেলেও অনায়াসে বুঝতে পারে। প্রতিভাশালী ব্যক্তির পুত্র হ’লেই কি প্রতিভার