পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪৪ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী অনুশীলন এবং সামাজিক রাজনৈতিক প্রভৃতি নানাবিষয়ের আলোচনা এদের মধ্যেই অনেক পরিমাণে সীমাবদ্ধ। অন্যান্য সকল জাতি প্রায় এসব বিষয়ে এদের বহু পশ্চাতে পড়ে আছেন। এক্ষণে আপন শিক্ষা দীক্ষা, অনুষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান ও জ্ঞানান্বেষণের ধারাকে দিন দিন পুষ্ট ও প্রবল ক’রে তুলে যদি সমগ্র জাতিকে বেঁচে থাকতে হয় তবে প্রকৃত কর্ম্মীর আবির্ভাব ২৩ লক্ষ উচু জাতের মধ্য হ’তে অধিক সংখ্যক হবে অথবা যাদের আমরা নীচঙ্গাত আখ্যা দিয়ে দূরে ঠেলে রেখে দিয়েছি সেই চার কোটিরও অধিক জনসংজঘ অধিক সংখ্যক কাজের লোক উৎপন্ন ক’রে সমাজকে পুষ্ট করবে ? সকল দেশে সমাজের সর্বপ্রকার স্তর হতে প্রতিভার বিকাশ হয়েছে। সুতরাং এই দুদিনে আজ একবার আমাদের ভেবে দেখ উচিত যে এই বিরাট জনশজঘকে নিকৃষ্ট ব’লে অবজ্ঞা ক’রে আমরা কত উংকৃষ্ট জিনিষের অপচয় করছি, সামাজিক অত্যাচারে ও শিক্ষাদীক্ষার অভাবে আমাদের কতটা শক্তি বিকাশলাভ না করে লোকচক্ষুর আড়ালে মুড়ে পড়ছে। এই প্রসঙ্গে আর একটা কথা মনে হচ্ছে । বাঙালীর আজ সামরিক বিভাগে প্রবেশের পথ কতকটা উন্মুক্ত হয়েছে ; ক্রমে আরও উন্মুক্ত হবে। বাঙ্গালী সেনা নিয়ে যে সৈন্যদল গঠিত হবে তাতে কি শুধু উচ্চজাতিরই লোক থাকবে অথবা সমাজের সকল স্তর থেকে সুস্থ ও সবলদেহ লোক সংগ্রহ ক’রে সেই সৈন্যদলকে পরিপুষ্ট করতে হবে ? বাংলায় মুসলমানের সংখ্যা অৰ্দ্ধেক ; তাদের মধ্যে জাতিভেদ নেই, স্থতরাং তাদের কথা এখন বাদ দিলাম। কিন্তু বিভিন্নজাতির হিন্দুসেন যখন কোন অভিযানে বাহির হবে তখন বামুন রাধুনীর অভাব হ'লে কি তার যে-যার হাড়ি মাথায় ক'রে কুচকাওয়াজ করবে ? আজকাল ট্রেঞ্চ অর্থাং পাদের মধ্যে আত্মগোপন ক’বে যুদ্ধ করতে হয় ; সেখান থেকে উঠে দাড়িয়ে এদিক ওদিক চেয়ে