পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪৮ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী যখন স্বাধীন চিন্তার গলা টিপে মারা হ’ল, তখন ৬৪ কলাবিদ্যা লোককে বৃদ্ধাঙ্গ প্রদর্শন করে অস্তৰ্হিত হয়ে গেল। বিজ্ঞানের যা কিছু ब्रड्रेजे-ऊ Surgeon of offio, Botanist Czz's of: Metallur. gist ভীল কোল সাওতালের হাতে । আঙুলের নৈপুণ্যে ঢাকাই মসলিন অতি সূক্ষ্ম হ’ল বটে, কিন্তু মস্তিষ্কের দৌড় ওই “পাত্রাধার তৈলবা "তৈলাধার পাত্রের” বেণী আর গেল না । বুদ্ধি জড় ও আড়ষ্ট হয়ে উঠল। তাই পর্য্যবেক্ষণ বা পরীক্ষণের দ্বারা বস্তুর অস্তিত্ব বিচার ক’রে ঘটনাপরম্পরার কার্য্যকারণ সম্বন্ধ নির্ণয়ের চেষ্ট লুপ্ত হ’ল। সামাজিক অত্যাচারের ফলে সাধারণ লোক অস্পৃশ্য ও মুর্থ হয়ে পশুত্বে নেমে গেল। ওদিকে আর্করাইট (Arkwright) নাপিত ছিলেন, ক্ষৌরকম্মের দ্বারা জীবিক অর্জন করিতেন—কিন্তু স্বীয় অসাধারণ প্রতিভাবলে আবিষ্কার ক’রে বস্ত্রবয়ন-কলে যুগান্তর উপস্থিত করেন । আমি আবার জিজ্ঞাসা করি আমাদের দেশে কোন নাপিত এ প্রকার কৃতিত্ব দেখাতে সক্ষম ? তাই এদের মধ্য থেকে জেমসওয়াট বা আর্করাইটের উদ্ভব অসম্ভব হ’য়ে দাড়িয়েছে । সুতরাং দেখা যাচ্ছে আমাদের দেশে স্বাধীন চিন্তা ও কর্ম্মশক্তি লুপ্ত হ’য়ে গিয়ে বিদ্যা ও বিজ্ঞানচচ্চরি যে শোচনীয় অবস্থা হয়েছে তার জন্য জাতিভেদ বড় কম দায়ী নয় । প্রেসিডেণ্ট উইলসন তার New Freedom নামক পুস্তকের এক স্থানে আমেরিকার বিশেষত্ব সম্বন্ধে বলছেন যে সে দেশের রাস্তার মুটে পর্য্যন্ত রাষ্ট্রনায়ক হবার আশা পোষণ করতে পারে ; কে দেশের নেতা হবে এবং কোন কুলে তার জন্ম হবে যুক্তরাজ্যে একথা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না। স্থবিধা ও স্থযোগ জনসাধারণের সকলের কাছে সমানভাবে উন্মুক্ত ; স্থতরাং সমাজের যে কোন স্তর থেকে সেখানে দেশনায়কের উদ্ভব হ’তে পারে। প্রেসিডেণ্ট উইলসন আরও বলেন