পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পাতিত্য সমস্যা[]

 বাঙ্গালী বড় ভাবপ্রবণ। বক্তৃতায় তার গত অর্দ্ধশতাব্দী কেটেছে। এখন কাজে নাব্‌তে হবে।

 আজ আমার মহা আনন্দের দিন! হাওয়া ফিরেছে। নবজাগরণের দিন এসেছে। এই মহাপ্রলয়ে তিনটি সাম্রাজ্য ফুৎকারে উড়ে গেল। সেই সময়ে যে-সব আইডিয়া ব্যক্ত হয়েছে তার ধাক্কা এখানে এসেছে। সেদিন বর্দ্ধমানের মহারাজা একটা পাকা কথা বলেছেন—এখন চারিদিকে বড় অশান্তি দেখা দিয়েছে। তাকে বাধা দিলে চল্‌বে না। একে বাধা দিলে কি হয় জানি না। এর আঘাত-প্রতিঘাতের কথা আজ আমি বল্‌তে চাই। প্রথমে মনে পড়ে পতিত জাতিদের সঙ্গে তথাকথিত উচ্চ জাতির লোকদের সম্পর্কের কথা।

 আমি খুলনা জেলার লোক। এই খুলনার ৭ লক্ষ হিন্দুর মধ্যে ৪ লক্ষ অস্পৃশ্য! ইহারা কৃষিজীবী। ইহারা ধনধান্যে সমৃদ্ধ। এই ৪ লক্ষ বলীয়ানের সঙ্গে ৩ লক্ষের সংঘর্ষ উপস্থিত হলে ব্যাপার কিরূপ দাঁড়ায় তা প্রণিধানযোগ্য। আমি দ্বেষজনক কোন কথা বল্‌ব না। যাতে কোন জাতিতে জাতিতে বিরোধ বাধে এখানে তেমন কোন রাগের কথা নেই। এখন ব্রাহ্মণ কায়স্থ বৈদ্য প্রভৃতি সকল শ্রেণীর লোকেরই বিসদৃশ অবস্থার দিকে নজর পড়েছে।

 আমরা ছেলেবেলা গল্প পড়েছিলাম—উদর ও দেহের অবয়ব সম্বন্ধে হিন্দু সমাজের তেমনি সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আছে। লর্ড ডাফ্‌রীন্‌ আমাদেৱ বিদ্রূপ করেছিলেন—এরা মুষ্টিমেয় (microscopic minority)—এরা

  1. ২১শে মার্চ্চ, খুলনা পৌণ্ড্রক-ক্ষত্রিয় সামাজিক সভার সভাপতির অভিভাষণ