আপনাদের আত্মমর্য্যাদা যে দিন দিন জেগে উঠ্ছে এ বড় শুভচিহ্ন। আপনারা যদি বোঝেন—আমরা অধঃপতিত নই, আমরাও বিদ্যাবুদ্ধি বলে উচ্চস্থান পাব তবে উন্নতি নিশ্চয়। রাতদিন অভিযোগ কর্লে উন্নতি হবে না। আপনাদের শক্তি যথেষ্ট। আপনারা নিজের পায়ের উপর দাঁড়ান। আপনারা আজকালকার “উচ্চ” শ্রেণীস্থ মধ্যবিত্তের অবস্থা জানেন—তাদের বাইরে কোঁচার পত্তন, ভিতরে ছুঁচোর কীর্ত্তন। আপনারা কিন্তু কৃষিজীবি, আপনারা সেই “পোদবৃত্তি” করেন। আমার এই খুলনার সন্নিকটস্থ আপনাদের হরিমোহন বাছাড় রাসে ৪০ হাজার টাকা ব্যয় করেছিলেন। সে আজ ৪০ বছরের কথা। আপনাদের মধ্যে অনেকে মোকদ্দমায় হাজার হাজার টাকা ব্যয় করেন। অর্থের অভাব নাই—চেষ্টার অভাব। গ্রামে গ্রামে চাঁদা তুলুন। ক্রিয়া কর্ম্মে কম ব্যয় করুন। যিনি ক্রিয়া কর্ম্মে দশ হাজার টাকা ব্যয় করেন তিনি ২॥০ হাজার ব্যয় ক’রে বাকী ৭॥০ হাজার সমাজের কাজে ব্যয় করুন। চাই শিক্ষা। উন্নতির জন্য কি দরকার? আমি বল্ব—১ম শিক্ষা, ২য় শিক্ষা, ৩য় শিক্ষা। শিক্ষা ভিন্ন পশুত্বে ও মনুষ্যত্বে কোন প্রভেদ নেই। আপনাদের সর্ব্বনাশের কারণ বাড়ী বসে সকলে অন্নসংস্থান করেন। আপনারা শিক্ষালাভ করুন—শিক্ষার দিকে মতি ফেরান—আপনাদের শক্তির প্রতিরোধ কর্তে কেউ পার্বে না। আপনারা যা ভাববেন তাই হবে। Nations by themselves are made, জাতি স্বতঃ গঠিত হয়। বর্দ্ধমান প্রাদেশিক সমিতিতে জষ্টিস্ চৌধুরী বলেছেন—mendicant policy ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করলে চলবে না। আপনারাও mendicant policy ভিক্ষাবৃত্তি পরিত্যাগ করুন। ভিক্ষাবৃত্তিতে কিছু হবে না। মহাশয় অনুগ্রহ ক’রে আমার জল ছোঁন—ও বল্লে চল্বে না। আপনাদের উন্নতি আপনাদের উপর নির্ভর করে। আমি কোন
পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫৬
আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী