১৶৹
বিভাগে উত্তীর্ণ হইয়া প্রথম স্থান অধিকার করিত তাহারা ভ্রমে কোন দিনও মৌলিক গবেষণার কথা মনে করে নাই!
প্রেসিডেন্সি কলেজে প্রবেশ করিয়া তাঁহার প্রধান চেষ্টা হইল ছাত্রগণের মনে বাস্তবিক বিজ্ঞানালোচনার জন্য একটা আকাঙ্ক্ষার সৃষ্টি করা। প্রথম হইতে ছাত্রগণকে বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট করিবার জন্য তিনি প্রায়ই প্রথম ও দ্বিতীয় বার্ষিক শ্রেণীতে অধ্যাপনা করিতেন। ‘কলেজে নব প্রবিষ্ট ছাত্রগণের মনে রসায়নশাস্ত্র শিক্ষার জন্য আগ্রহ সৃষ্টি করিবার উদ্দেশ্যেই তিনি নিম্নতম শ্রেণীতে অধ্যাপনা করিতেন। তিনি রাসায়নিক তত্ত্ব, বিশ্লেষণে অথবা বিভিন্ন মতবাদের আলোচনায় সময় ক্ষেপ না করিয়া কিরূপে রসায়নের সেবায় আত্মনিয়োগ করা যায় তাহার দৃষ্টান্ত ছাত্রগণের সম্মুখে উপস্থাপিত করিতেন; বিদ্যার জন্য বিদ্যাচর্চ্চা, সত্যানুসন্ধান, নৃতন তথ্যের আবিষ্কার, রসায়নশাস্ত্রের পরিপুষ্টির জন্য রসায়নশাস্ত্র অধ্যয়ন প্রভৃতি খাঁটি সত্যগুলি ছাত্রগণের মনে সুপ্রবিষ্ট করিয়া দিতেন; উচ্চ শ্রেণীর ছাত্রগণের সম্মুখে তাঁহার নিজের আবিষ্ক্রিয়ার বিবরণ সবিস্তারে বর্ণনা করিতেন; কেবলমাত্র পরীক্ষায় পাশের জন্য সাহায্য করিতেন না। মধ্যে মধ্যে কৌতুকজনক সন্দর্ভের অবতারণা, সামাজিক ব্যাধির আলোচনা প্রভৃতি দ্বারা ছাত্র গণের মনে পৌরুষের আদর্শ জাগাইয়া উহা লাভ করিবার পন্থা নির্দ্দেশ করিয়া দিতেন। নিম্নশ্রেণীতে প্রীতিকর রাসায়নিক পরীক্ষা উপস্থাপিত করিয়া ছাত্রগণকে রসায়নবিজ্ঞানের গুপ্ত রহস্যের সহিত পরিচিত ও উহা উদ্ঘাটনের জন্য উৎসাহিত করিতেন।’
এই সময়ে এফ্ এ ও বি, এ পরীক্ষায় রসায়নশাস্ত্র পঠিত হইত বটে, কিন্তু কাহাকেও হাতে-কলমে কোন কাজ করিতে হইত না; এমন কি, এম, এ পরীক্ষার জন্যও হাতে কাজ সামান্য মাত্র আবশ্যক