পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাতিগঠনে বাধা-ভিতরের ও বাহিরের . ۹ د করতে গিয়েও তাদের আড়ষ্ট বুদ্ধি সাড়া দেয় না ; ঐ ডিগ্রী, আর চাকরী। বুদ্ধি খাটিয়ে আপন হাতের জোরে কিছু স্বজন করে ভুেলবার কল্পনা তাদের মনে কখনও জাগে না । এবার বিলাত থেকে প্রত্যাগমনের পথে জাহাজে দু’জন দেশীয় বুণিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় । তাদের মধ্যে একজন কলকাতার এক ধনী সওদাগরের পুত্র । লণ্ডন, নিউইয়র্ক প্রভৃতি স্থানে তাদের ব্যবসার কেন্দ্র আছে । আর-একজন গুজরাট বেণিয়া—১৪ মাস বিলাতে ছিলেন-পশমী জিনিষের ব্যবসা করেন। এই দুটি যুবক শিক্ষিত, কিন্তু তাদের ডিগ্রী নেই, তার ছাপহীন । জাহাজে একজন ম্যাটুসিনির জীবনচরিত পাঠ করছিলেন, আর একজন প্রথমে ওমর খৈয়াম এবং পরে Light of Asia পাঠ কৰূছিলেন। তাই বলি ব্যবসা ও । শিক্ষায় রিরোধ নেই–একেবারেই নেই। কাণেগী ও রকফেলারের নাম কে না শুনেছেন ? - এদের শিক্ষা যেরূপ গভীর, ব্যবসার বিস্তার সেইরূপ অদ্ভুত। জনসাধারণের হিতার্থে কার্ণেগী ১০০ কোটি টাকা ও রক্ফেলার বিদ্যাশিক্ষার ও নরহিতের জন্য ১৫০ কোটি টাকা দান করেছেন । এদের জীবন যেন উদ্যম, অধ্যবসায়, শিক্ষা, দীক্ষা, ব্যবসা, বাণিজ্য এবং করুণা ও মহাপ্রাণতার অপূর্ব্ব সঙ্গম । আর আমাদের 'এমনি দুর্ভাগ্য যে অন্ত দেশে বহু চেষ্টায় যা সম্ভব হয়েছে আমরা একপ্রকার বিনা চেষ্টায় শুধু গলাবাজীর দ্বারা তা সারতে চাই- . কিন্তু গলাবাজীর কসরতে গলাই ভেঙ্গে যায়, আসল কাজ এতটুকুও হয় না। তৰু আমরা নিজের আলস্য ও উদ্যমহীনতার দোষ দিই না-দোষ দিই পারিপার্থিক অবস্থার। কেউ বলেনআ: বড় গরম, কাজ করতে পারি না ; আবার কেউ বা বলেন— উ: কি শীত, কাজে হাত পা ওঠে না।