পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিথ্যার সহিত আপোষ ও শাস্তি ক্রয় , ১৭৭ সভ্যতার চরম ও তাহাতেই আত্মার মুক্তিও তৃপ্তি হয় এই ধারণা পোষণ ও প্রচার করিতেন তাহা নহে, তখনকার দিনে প্রকাশ্যে মদ খাওয়াও চলিত। সমাজের সর্বত্রই একটা উদাম উচ্ছ স্বলতার ভাব দেখা গিয়াছিল। পিতৃদেবের কাছে শুনিয়াছি স্বৰ্গীয় রাজনারায়ণ বসু মহাশয় যৌবনকালে মদকে উপাদেয় পানীয় বলিয়া মনে করিতেন; কিন্তু প্রবীণ বয়সে তাহার ঐ ভ্রান্ত ধারণ দূর হয়—এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতার সার গ্রহণ করিয়া স্থূলতঃ ভিনি নবজীবন লাভ করেন । শেষ বয়সে তিমি হিন্দুধর্ম্মের শ্রেষ্ঠত ‘ৰিষয়ে বক্তৃতা দিতেন । সেই সব বক্তৃতা ছাপার অক্ষরে যখন ঘরে ঘরে ছড়াইয়া পড়িল, তখন অনেকে ভাবিলেন হিন্দুসমাজ অনেকখানি এগিয়ে গেল, এইবার প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য শিক্ষার সার গ্রহণ করিয়া, রামমোহন রায়ের প্রদশিত পথে, দেশের ও সমুাজের ভাবী উন্নতির বনিয়াদ স্থাপন করিতে হইবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সে আশা ফলুবতী হইল না। তাহার কারণ কি ? কারণ এই দেখা গিয়াছে অসত্য ও ভ্রান্ত ধারণার সহিত আপোষ করিতে করিতে আমরা এক পাও অগ্রসর হইতে পারি নাই । সমাজে বাস করিতে হইলে আপোষ দরকার—আপোষ না হইলে চলে না। যদি গাড়ীর সামনে একটা ঘোড়া যুড়ে দেওয়া যায়—এবং গাড়ীর পিছনে আর একটা সমান বলশালী ঘোড়া জুড়ে দেওয়া যায় ও তাহাদের তাড়না করা যায়, তাহা হইলে দেখা যায় গাড়ী চলে না । যাহারা mechanics পড়েছেন তাহারা এই কথাটা সহজেই বুঝিতে পরিবেন। আমাদের জীবনকে সত্য একদিকে টানে, মিথ্যা অপর দিকে টানে। কাজেই আপোষ দরকার-কিন্তু তাহার সীমা আছে। মিথ্যার সহিত বনিবনাও রাখিতে গিয়া আমরা সব হারিয়ে ফেলেছি। একটা মামুলী গল্প আছে—প্রাচীন কালে এক রাজা এক দীঘি খনন. > ૨