করাইরা তাহা উংসর্গ করাইবার জন্য কুলপুরোহিতকে ডাকিলেন। পুরোহিত বলিলেন, দুধ দিয়ে দীঘি পূর্ণ কর্ত্তে হবে—তারপর উৎসর্গ। রাজা ঢেড়া দিলেন, প্রত্যেক প্রজাকে এক ঘটী দুধ দিতে হবে, পুকুর ভর্ত্তি করিবার জন্য। প্রজারা সকলেই চালাক-প্রত্যেকে ভাবিল, সকলেই দুধ দিবে (অবশ্য তখন দুধ টাকায় ২॥ সের হয় নাই) আমি যদি রাত্রে এক ঘটী জল দিয়ে আসি, কে বুঝবে! পরদিন সকালে দেখা গেল দুধের পরিবর্ত্তে জলে পুকুর বোঝাই—সকলে জল দিয়াছে! আমরা বাঙ্গালী, উল্লিখিত প্রজাদের মতই উর্ব্বর মস্তিষ্কসম্পন্ন—প্রত্যেকেই ভাবি আমি যদি একটু ফাঁকি দিই তাহাতে জাতির কি আসে যায়। কিন্তু প্রত্যেকেই যদি এই প্রকার মনোবৃত্তির পোষকতা করেন তবে জাতির দশা কি হয় তাহা সহজেই অনুমেয়।
জুন মাসের “কলিকাতা রিভিউ” পত্রে, আশুতোষ কলেজের একজন অধ্যাপক “নব্য বাংলা” শীর্ষক একটী সারগর্ভ প্রবন্ধ লিখেছেন— ভূমিকায় দু’ একটা কথা উদ্ধৃত করেছেন তাহা আমার কাছে খুব সুন্দর বলে মনে হয়েছে; তাহা হইতে কয়েক ছত্র মাত্র পাঠ করিতেছি।
“He eats beef, cracks whole bottle of cognac at Spencer's or Wilson’s but as soon as he makes his appearance in native Society, he is as it were metamorphosed into a new being. He is then a pattern to the most thorough-göing Hindu.”
ইহা ১৮৫২ সালের কথা। তারপর প্রায় ৭২ বৎসর অতিবাহিত হইয়াছে। এই সময়ের মধ্যে দেশের অবস্থার অনেক পরিবর্ত্তন হয়েছে। এখন বাঙ্গালীর মধ্যে ‘স্বদেশী’ ভাব প্রবল হইয়াছে সন্দেহ নাই, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই দেখি রেস্তোরাঁর সংখ্যাও অসম্ভব রকম বাড়িয়াছে। আজ