পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮০
আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী

চাকুরী ক’রে খাবে না (যেন চাকুরীর জন্যই বিদ্যার প্রয়োজন)। সেনসাস্ রিপোর্টে দেখা যায়, দেশের শতকরা ৫ জন লোক বর্ণজ্ঞানবিশিষ্ট (literate); মহিলাদের মধ্যে শতকরা আধ জন মাত্র। তাহা হইলে দেখুন, শিক্ষা হিসাবে আমরা কত নীচে। পাপের প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করিতেছি—দোটানা জীবন ভিন্ন উপায়ান্তর নাই। স্ত্রীশিক্ষার অভাবেই সমাজে আজ এত ব্যাধি, দুর্নীতি ও কুসংস্কার। পুরুষ ও মহিলাদিগের ভিতর শিক্ষা, দীক্ষা ও চিন্তার বেশী পার্থক্য থাকিলে সমাজ চিরকালই ভগ্নস্বাস্থ্য ও দুর্ব্বল হইয়া থাকিবে। জুলিয়স্ সিজারকে হত্যা করিবার জন্য ব্রুটাস্, কেসিয়াস প্রভৃতি ষড়যন্ত্র করিতে লাগিলেন। ব্রুটাসের তখন চোখে ঘুম নাই আহার বিহারে তৃপ্তি নাই—মন সর্ব্বদাই চঞ্চল ও উদ্বিগ্ন। তাঁহার স্ত্রী পোরসিয়া কারণ জিজ্ঞাসা করিয়া সন্তোষজনক উত্তর পাইলেন না। ব্রুটাস স্ত্রীর নিকট আত্ম-গোপন করিলেন। তখন পোর্‌সিয়া বলিলেন,

“Is it expected I should know no secrets
That appertain to you? Am I yourself
But, as it were, in sort or limitation,
To keep with you at meals, comfort your bed,
And talk to you sometimes? Dwell I but in the suburb
Of your good pleasure? If it be no more,
Portia is Brutus’ harlot not his wife,”—Julius Caeser

 আমাদের বাঙ্গালী কবি, তাহার অতুলনীয় তুলিকায় চিত্র এঁকে দেখিয়েছেন শিক্ষিত ও অশিক্ষিতার মধ্যে ভাবের কি গভীর পার্থক্য! —

বর।  ‘বল একবার,  “আমিও তোমার,
তোমা ছাড়া কারে নাহি চাই!”