ethical obligations”—Morley’s Compromise. আমাদের দশাও তাই। হিন্দুসাম্রাজ্যের অধঃপতনের কারণ বিবেকশক্তি ও নৈতিক বলের অভাব। আমরা আজকাল খুব শাস্ত্রবচন আওড়াইয়া থাকি। অতীত যুগের কীর্ত্তি ও সভ্যতা, শিল্প ও উৎকর্ষতা, সাহিত্য ও দর্শন, বেদ ও বিজ্ঞান, শৌর্য্য ও বীর্য্যের জয়গান করিয়া নিজেদের দোষ ও দুর্ব্বলতা ঢাকিবার চেষ্টা করি। একবার বেথুন কলেজের পুরস্কার বিতরণী সভায় আমাদের দেশের একজন গণ্যমান্য নেতা (গোঁড়া হিন্দুও বটে) ও উচ্চপদস্থ লোক, লাটসাহেবের সম্মুখে বক্তৃতা দিতে দিতে বলিয়াছিলেন, আমাদের গার্গী, মৈত্রেয়ী ছিল—খণা, লীলাবতী ছিল—এই ছিল, সেই ছিল—ইত্যাদি। কিন্তু তাঁহার বাড়ীতে ‘অষ্টমবর্ষে ভবেৎ গৌরী’। বিদেশীর কাছে বাহবা লইবার জন্য ভারতের অতীত ইতিহাসের পৃষ্ঠা খুলিয়া থাকি,কিন্তু গৃহিণীর রাজ্যে পদার্পণ করিবার সঙ্গে সঙ্গেই নূতন মানুষ হইয়া যাই।
মরা জাতি ও জীবন্ত জাতিতে কত প্রভেদ দেখুন। চীন খুব রক্ষণশীল জাতি—কিন্তু আমাদের মত বিপদ তাহাদের নাই, তাহাদের মধ্যে ধর্ম্ম ও সাম্প্রদায়িক বিভিন্নতা নাই। আমার মনে আছে, ১৫/১৬ বৎসর আগে যখন চীনের সহিত জাপানের যুদ্ধের সূচনা হয় তখন দশ হাজার চীন রমণী ক্যান্টনে সভা করিয়া প্রস্তাব করিলেন যে তাঁহারা জাপানী মাল বয়কট করিবেন। এসব কি আমাদের দেশে সম্ভব? সান্ ইয়াট্ সেন্ সাধারণতন্ত্র স্থাপন করিয়া ঘোষণা করিলেন-টিকি কাটিতে হইবে। তখন কালিফর্নিয়া, মালয়, ব্রহ্মদেশ, চীনদেশ প্রভৃতি স্থানে যেখানে যত চীনা ছিল সকলেই শিখা ছেদন করিল। এমন কি বেণ্টিক ষ্ট্রীটের জুতাব্যবসায়ী চীনারা পর্যন্ত একটু ইতস্ততঃ করিল না। যেমন একটী বৈদ্যুতিক বোতাম টিপিলে এক সঙ্গে শত শত আলো জ্বলিয়া উঠে