পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯২ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী তেমনি চীনারা একদিনে টিকি কাটিয়া ফেলিল—বলিল,টিকি মাঞ্চুদিগের প্রবর্তিত দাসত্বের নিদর্শন—আজ মাঞ্চুরাজতন্ত্রের অবসান। আর আমরা সনাতন হিন্দুধর্মের দোহাই দিয়া টিকির গোড়ায় তেল চালিতেছি—এবং তাহার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও দিতে আরম্ভ করিয়াছি। আর একটা জীবন্ত জাতি এঙ্গোরার দিকে চেয়ে দেখুন—কি প্রবলবেগে তাহারা উঠিতেছে । কপট দেশাচার, ভণ্ডামি পর্দাপ্রথা দূর করিতেছে। একটা নূতন ভাবের একটা জাগরণের নেশায় তাহারা উন্নতির দিকে ছুটিয়া চলিয়াছে। যুবকেরাই জাতির আশাভরসাস্থল—দেশসেবার পুরোহিত । তাহারাই এগিয়ে যাবে-কিন্তু তাহারাই অনেক সময় পিছাইয়া যায়। কথা হইতেছে, কে আগে যাবে। সকলেই বলেন, আমি আগে যাব কেন ? যাইতে হয় ত এক সঙ্গেই যাইব, কাজ করিতে হয় ত একসঙ্গে করিব। দশে মিলি করি কাজ, হারি জিতি নাই লাজু . ন গণস্তাগ্রতোগচ্ছেং সিদ্ধে কার্য্যে সমং ফলং যদি কার্ষ্যে বিপত্তি স্যাং মুখরস্তত্র হন্ততে । কিন্তু মনে ভাবুন গ্রামে একটা বাঘ আসিয়া খুব অনিষ্ট করিতেছে। কেহই এগুতে সাহস করিতেছে না । তখন এমন লোক এক একজন থাকেন র্যাহারা বন্দুক বা লাঠি সড়কি লইয়া বাঘ মারিতে অগ্রসর হয়েন। তাহারা বলেন, তোমরা আসিতে হয়, এস। দেখাদেখি আরও পাঁচ জন অগ্রসর হয়। এই রকম ভাবে এগুতে হবে—দেশের সব লোক অমুসরণ না করুক অন্তত: পাচ জনও করিবে। না এগুলে রক্ষা নাই—বাচিবার অন্য পথ নাই। কার্লাইল বলেছেন, “Every new opinion, at its starting is precisely in a minority of one. In one man's head alone, there it dwells as yet. One man alone of the whole world believes it, there is one.