রাজনীতি প্রভৃতি বিষয়ে যে-সব মূল্যবান কথা লেখেন, বড় বড় ডিগ্রীধারীগণ তা থেকে যথেষ্ট শিক্ষালাভ কর্তে পারেন।
আমরা নিজেদের আধ্যাত্মিক জাতি বলে’ গর্ব্ব করে থাকি আর যুরোপীয়দের জড়বাদী ব’লে গালি দিই। কিন্তু জড়বাদী ওরাই আমাদের দেশের স্থানে স্থানে নানা কুষ্ঠালয়, হাসপাতাল ইত্যাদি স্থাপন করে। ভারতবর্ষে ৭২টি কুষ্ঠালয় আছে, তন্মধ্যে দেওঘরে যোগীন্দ্রনাথ বসু কর্তৃক স্থাপিত একটি ছাড়া আর সবই তো ওদের। ফাদার ডামিয়েন তাঁর জীবনই তো কুষ্ঠীর সেবায় তিলে তিলে বিলিয়ে দিলেন! আর্ত্তকে কেউ কোলে তুলে নিচ্ছে আবার কেউ বা বল্ছে—ওকে ছুঁয়ো না। বাস্তবিক কি বৈচিত্র্য ওদের জীবনে! জান্বার, বুঝ্বার, পাবার কি দুর্ণিবার চেষ্টা! কেউ হিমালয়ের উত্তঙ্গ শিখরে আরোহণ কর্বার জন্যে বৎসরের পর বৎসর চেষ্টা কর্ছেন, তার আয়োজনই বা কত; কেউ বা আফ্রিকা মহাদেশের কিলিমেন্জেরো পর্ব্বতের চিরতুহিনাচ্ছন্নচূড়ায় কোন চিরনূতনকে দেখবার প্রয়াস করছেন। সু-উচ্চ গিরিদেশে শ্বাসরোধ হয়ে কেউ বা প্রাণ হারিয়েছে—তবু দৃকৃপাত নেই। মন্ত্রের সাধন কিম্বা শরীর পাতন। মেরুসন্নিহিত প্রদেশের প্রাকৃতিক অবস্থা জানবার জন্য ফ্রাঙ্ক্লিন, ন্যান্সেন, শ্যাক্ল্টন প্রমুখ অনুসন্ধিৎসু কত অসাধ্য না সাধন করেছেন। মানুষের যা সাধ্য তা এরা কর্বে, আবার মানুষের যা অসাধ্য তাও এরা কর্বে। কি বিপুল দুর্দ্ধান্ত জীবন! উদ্ভিদতত্ত্ববিৎ ইংরেজ হুকার বিচিত্র লতাগুল্মের সন্ধানে সিকিম প্রদেশে গিয়ে সেখানে বন্দী হলেন। তাই নিয়ে যুদ্ধই বেধে গেল। যুদ্ধজয়ের পর তিনি মুক্ত হলেন। তাঁর Flora Indica বর্ণিত সংগ্রহ বিলাতে কিউ গার্ডেনে (Kew Garden) কত যত্নে রক্ষিত