পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধনা ও সিদ্ধি २ ०१. AAAAAASAAAA পিছনে পড়ে গেছি। সর্ব্বনাশকারী পল্লবগ্রাহিত আমাদের নষ্ট করেছে। ৬প্রতাপ মজুমদার বলতেন “জাপানীর অপেক্ষাকৃত ইঁদা, বাঙালী অতি বুদ্ধিমান ।” সেইজন্যই বাঙালী আজ দুর্দ্দশাগ্রস্ত । আত্মঘাতী উদ্যমহীনতা আমাদিগকে স্বল্পায়াসে কৃতকার্য্যতা লাভ করতে চেষ্টত করে। তাই আজ সব ক্ষেত্রেই চাই সাধন। অন্নসমস্য, বস্ত্রসমস্যা, অর্থসমস্যা, স্বাস্থ্যসমস্যা প্রভৃতি নানাসমস্যায় পড়ে আমরা সব রকমে মাটি হয়ে যেতে বসেছি। এখন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সহকারে লেগে পড়ে ধুেকে এক একটি সমস্তুর মীমাংসা করতে ন পারলে আমাদের আর বঁচি বার আশা নেই। • আর একটা কথা। আমাদের সর্বদ স্মরণ রাখতে হবে চেষ্টামাত্রেই অথবা কিছুদিনের চেষ্টাতেই যে এই সকল কঠিন সমস্যার মীমাংসা হ’য়ে যাবে তা কখনই নয়। সুতরাং কাজ আরম্ভ ক’রেই ফলের আকাঙ্ক্ষ করলে চলবে না। মনে রাখতে হবে, প্রয়াসসাধ্য সকল কার্য্যেই করার আনন্দটাই মুখ্য, পাওয়ার আনন্দ নয় ; মৃগয়ায় যেমন অন্বেষণেই আমোদ, তেমনি প্রকৃতির গুঢ়রহস্য যার উদ্‌ঘাটন করেন তাদের সেই চেষ্টাতেই অপার আনন্দ । আজ আমাদের তাই এই প্রচেষ্টার আনন্দের আস্বাদ গ্রন্থণ করতে হবে । জর্ম্মান দার্শনিক লেসিং সম্বন্ধে একটা কথা আছে ঘে যদি ঈশ্বর এসে তাকে বলতেন—তুমি সত্য চাও না সত্যের সন্ধান চাও, তবে তিনি জবাব দিতেন—আমি সত্যের সন্ধান চাই, কিসে পাব, কেমন করে পাব, এই সে দেখা দেবে, পরক্ষণে আড়ালে লুকোবে । এই খোজের খেলার বিপুল আনন্দে আমি ভরপুর হয়ে থাকতে চাই । এই ত প্রাণবন্তের লক্ষণ ; বাস্তবিক আনন্দ প্রাপ্তিতে নয়, অন্বেষণে• আর এই অন্বেষণ বা সাধনা একই কথা । ধর্ম্মজগতে বুদ্ধ, যীশু, মোহম্মদ, চৈতন্য এদের সিদ্ধিলাভের ইতিবৃত্ত