তাহা হইলেও বুঝা গেল না; তখন তাহাকে আরে। ব্যাখ্যা করিতে হইল—“থি, ষ্টারিস্ হাই”। “Three stories high” “গাড আল্মাইটী সিট আপন” (God Almighty sit upon) অর্থাৎ জগন্নাথদেব বসিয়া আছেন, “লাং লাং রোপ” (Long long rope) “থৌজণ্ড মেন ক্যাচ” (Thousand men catch), “পুল, পুল, পুল” (Pull, pull, pull) “রনাওয়ে, রনাওয়ে” (Run away, Run away), “হরি হরি বোল হরি হরি বোল।”[১]
এই তো গেল ইংরাজ রাজত্বের প্রথম আমলের কথা। তাহার পর যখন ডেপুটী কালেক্টরী, মুন্সেফী প্রভৃতি পদের সৃষ্টি হইল ও সেক্রেটেরিয়টের অল্পাধিক বেতনের কেরাণীগিরির জন্ম হইল, তখন দশ পনরো বৎসর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধিলাভের এক চরম উদ্দেশ্য হইয়া দাঁড়াইল শীঘ্র শীঘ্র পাশ করিয়া এই সকল পদলাভ করা। কাজেই আমাদের সমাজের এক সংস্কার জন্মিল যে ইংরাজী লেখাপড়া শিক্ষা করিলেই চাকুরী করিয়া জীবিকা নির্ব্বাহ করা সহজ হইবে। কিন্তু একথা কেহ তলাইয়া দেখিল না যে অজস্র চাকুরীর সৃষ্টি কদিন চলিবে? আমাদের দেশে বহুকাল হইতেই একটী সারবান্ বচন চলিয়া আসিতেছে,—
“বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মীঃ তদর্দ্ধং কৃষি কর্ম্মণি।
তদর্দ্ধং রাজসেবায়াং ভিক্ষায়াং নৈব নৈব চ॥
নবাব সিরাজ-উদ্দৌলার কলিকাত। অবরোধের পর ইংরাজদিগের সহিত যে সন্ধি স্থাপিত হয় তাহার অন্যান্য সর্ত্তের মধ্যে একটা সর্ত্ত এই ছিল যে সিরাজ ব্যবসায়ের ক্ষতিপূরণস্বরূপ শুধু আর্ম্মেণীয় বণিকদিগকে
- ↑ সেকাল আর একাল—২৫—২৭ পৃঃ