বৃহদায়তন ষ্টীমার সমুদ্রবক্ষে বিরাজ করিতেছে। আবার এই সমস্ত ষ্টীমার চালাইবার জন্য কত সহস্র ও লক্ষ নাবিক, কাপ্তেন, ইঞ্জিনিয়ার নিযুক্ত রহিয়াছে। আবার এই সমস্ত গড়িবার জন্য গ্লাসগো, লিভারপুল প্রভৃতি নগরে কত বৃহদায়তন ডক্ রহিয়াছে। আর সেখানে সহস্র সহস্র লক্ষ লক্ষ মজুর এবং কত বিজ্ঞানবিৎ ইঞ্জিনিয়ার ইহার নক্মা (naval architecture) নির্ম্মাণের জন্য ব্যাপৃত রহিয়াছেন। আমরা যদি এই প্রকারে কর্ম্মোৎসাহ (spirit of enterprise) বাণিজ্য-পটুতা (commercial activity) না হারাইতাম তাহা হইলে আজ আমাদের নদীবক্ষে ও বঙ্গোপসাগরের উপকূলে কত শত শত ষ্টীমার চালিত হইত তাহাতে কত বাঙ্গালী কাপ্তেন, ইঞ্জিনিয়রের জীবিকা-নির্ব্বাহ হইতে পারিত! অধিক কথা কি, আমাদের দেশে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এত বৎসর স্থাপিত হইয়াছে কিন্তু এই বিদ্যালয়ের শিক্ষিত ব্যক্তিগণ চাকুরী ব্যতীত আর কোনও উপজীবিকা খুঁজিয়া পান না। Vide J. G. Cumming’s Report on “Technical and Industrial Instruction in Bengal”, 1888-1908. Part I. of Special Report, page 12.—“The great attraction is the comparative certainty of subsequent official employment. Eight out of every ten students of the Engineering Department find employment under Government, and only one out of ten finds private employment. Mr. Heaton, the Principal, has remarked that this discloses in a startling manner the state of arrested industrial development in Bengal.” এই প্রকারে অন্তর্ব্বাণিজ্য আমাদের হাতছাড়া হইয়া যাওয়ায় আমরা কোটি কোটি টাকা
পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বঙ্গীয় যুবক-সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎ জীবিকা-অর্জ্জন।
২১৫