পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৬ আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী হারাইতেছি । আবার এই সমস্ত ষ্টীমার নির্ম্মাণের জন্য কত mechanical engineerএর প্রয়োজন হইত ? আশ্চর্য্যের বিষয় এই, আনুমানিক খ্রীষ্টিয় দ্বিতীয় শতাব্দীর রচিত ( ১৯২ অব্দে ) মৃচ্ছকটিকে নাটক পাঠে জানা যায় যে, ইহার নায়ক চারুদত্ত (ব্রাহ্মণ বণিক ) ছিলেন । চীন পরিব্রাজক ফা হিয়ানের ভ্রমণ বৃত্তান্ত পাঠে জানা যায় যখন তিনি ভারতবর্ষ ও সিংহল হইতে স্বদেশে প্রত্যাগমন করেন তখন অনেক ব্রাহ্মণ বণিক তাহার সহযাত্রী ছিলেন । তাহার পর শ্রীমন্ত সওদাগরের কথা বাঙ্গাল দেশের ঘরে ঘরে প্রচলিত আছে । কিন্তু যেদিন হইতে সমুদ্র যাত্রা ও বিদেশ গমন বন্ধ হইল সেই দিন হইতেই আমরা বাণিজ্য-পটুত (commercial activity) হারাইয়াছি । বর্ত্তমান সময় একবার বেলেঘাটায় গিয়া কি প্রকারের নৌকায় আমাদের অন্তর্ব্বাণিজ্য চালিত হয় আর একবার গঙ্গার ধারে জেটিতে যাইয়। বহির্বাণিজ্য কিরূপে নির্ব্বাহিত হয় তাহা দেখিয়া তুলনায় সমালোচন। করিলে অনেক শিক্ষালাভ করিতে পারা যায় । একদিকে দেড়শত হইতে ‘হাজার মণি নৌকা অপরদিকে আট হাজার দশ হাজার হইতে পঞ্চাশ হাজার টন ভারবাহী বিরাট পোত দাড়াইয়া আছে। এ উভয়ের মধ্যে তুলনা অসম্ভব হইলেও, শিক্ষালাভ অসম্ভব নহে। প্রথমে সমুদ্রযাত্রা নিষেধ ও তাহার পর জাতিভেদরূপ মহা নিগড়ে যেদিন -আমরা নিজেদের হাত-প! বধিয়াছি সেদিন হইতে অনেক ব্যবসায় লোপ প্লাইয়াছে আর তাহার বিষময় ফল আমরা এখন ভোগ করিতেছি। যতদিন আমরা ইউরোপের সহিত সংঘর্ষণে আসি নাই ততদিন আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পল্লীসমাজ জাতিভেদের বিষময় ফল ভোগ করে নাই । এই পাশ্চাত্য সংঘর্ষণ এত শীঘ্র ঘটিয়াছে যে আমরা উহার ধাক্কা সামলাইয়া উঠিতে পারি নাই। পূর্ব্বে প্রত্যেকটা গ্রাম ক্ষুদ্র