পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২৪
আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী

অগ্রণী—বম্বে দ্বিতীয় স্থানে এবং বাঙালা তৃতীয় ও সর্ব্ব নিম্নে। এই স্থানে ৭।৮ মাস পূর্ব্বে মহামতি গোখ্‌লের একটি কথা বলেছিলাম, সমস্ত ভারতবর্ষ বাঙলার দিকে তাকিয়ে আছে, বাঙলার বাণীই ভারতের অন্যান্য প্রদেশ উন্মুখ হয়ে অপেক্ষা করে। “What Bengal thinks today, the whole of India will think to-morrow” কিন্তু হায় আজ বাংলা কোথায়!

 ব্যবসা বাণিজ্যের কথা তো নেইই, বাঙলা আজ সকল ক্ষেত্র হতেই বিতাড়িত হয়েছে। এর কারণ কি? ইংরাজ শাসনের পূর্ব্বে বাহিরের জগতের সংস্পর্শ শূন্য হয়ে, নিজের আবেষ্টনের মধ্যে আপনার শত অপূর্ণতাতেও আপনি বিভোর ছিল, তখন বাংলার দিন চলিয়াছিল বেশ। জীবন সংগ্রামের কঠিন প্রতিযোগিতায় বাইরের ঘাত ও প্রতিঘাত আমাদের জীর্ণ সমাজ-দেহকে আলোড়িত করিয়া তুলে নাই তাই অপর্য্যাপ্ত ক্ষেতের ধান, পুকুরের মাছ, গরুর দুধে দিন চলিত একরকম বেশ। কিন্তু আজ অন্নাভাব। জীবন ধারণোপযোগী একপোয়া মাছ আধসের দুধ আজ মহার্ঘ। শুধু কলিকাতায় নয় পল্লীগ্রামেও কখন কখন দুধের সের আট আনা। আর মাছ বলে আমরা যা খাই তা তো কেবল মনকে প্রবোধ দিবার জন্য। আজ বাংলা দেশে খাদ্যাভাব। পুষ্টিকর খাদ্য নেই; আজ আমরা যেন ঘাস পাতা খেয়ে কোন প্রকারে জীবন ধারণ করে আছি। তাই পারিপার্শ্বিক অবস্থার সঙ্গে খাপ আমাদের খাচ্ছেনা। তাই আমরা আমাদের দুর্গতির সমস্ত দোষ ইংরাজের স্কন্ধে চাপাইয়া বলি “ইংরাজ এই সুজলা, সুফলা বাংলা দেশের ধন ধান্য লুঠে নিচ্ছে”। বাংলার ধন, বাংলার শস্য ইংরেজ অতি কমই লুঠ করে। আজ Behar for the Beharees, Assam for the Assamese, Orissa for the