Oriyas কিন্তু Bengal for every body. বাঙ্গালী অতি পারমার্থিক জাতি। বাংলার দরজা সব সময়েই খোলা। প্রথমে চৌরঙ্গি, তারপর Exchange এ যান দেখবেন আমরা পুরাকালের দধীচি মুনির মত কেমন নিঃস্বার্থভাবে নিজের অস্থি পরের উপকারের জন্য অকাতরে দান করছি। রেলি, টার্ণার মরিসন্, গিলাণ্ডর্স প্রভৃতি বণিকদের উপকারার্থে আমরা অম্লান বদনে কেরানীগিরি করিতেছি। তার পর, ভাটিয়া, মাড়োয়ারীরা সমস্ত করতলস্থ করেছে, হ্যারিসন রোড থেকে বাঙালীটোলা প্রায় মাড়োয়ারীর হস্তগত হয়েছে। আমরা স্থানচ্যুত হয়ে ৪।৫ তলা বাড়ীর পায়রার খোপের মত সব অংশে এসে আশ্রয় নিচ্ছি। এখন একটু Tightness of the market বলে যা কিছু রেহাই পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু অচিরেই যে আমাদের বিতাড়িত হতে হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই। শ্রমজীবিদের মধ্যে খুঁজলেও বাঙ্গালী শ্রমিকের অবস্থা ভদ্রলোকদেরই মতো। প্রায় ৫০ বছর হল দেখে আস্ছি plumber সব উড়িয়া। জল, ড্রেন, গ্যাসের কাজ এরাই কর্ছে। রাঁধুনে বামন হয় উড়ে নয় খোট্টা; পাড়াগাঁয়ে অবস্থাপন্ন লোকের বাড়ীতে পর্য্যন্ত দেখছি উড়ে বামুন, খোট্টা বেহারা। বাংলা দেশের ধন ধান্য কি এতই অপর্য্যাপ্ত যে এখানে কাহারো গৃহে অন্নাভাব নাই, প্রত্যেকের বাড়ীতেই মাটিতে লোহার সিন্দুক পোঁতা যে এখানে কাহারো মুটে মজুর, বেহারা প্রভৃতি হবার দরকার নেই? আমরা নবাবী করেই চলেছি, কি যে দুর্দ্দশা এতে হচ্ছে তা বুঝতে কাহারো কষ্ট হয় না। বিশদ করে বলে আর কি হবে!
আজকাল আমাদের সাধের কেরাণীগিরি হতেও বিতাড়িত হবার লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি। নিরামিষ ভোজী মান্দ্রাজী ব্রাহ্মণ বাঙালীর চেয়ে অল্প বেতনে কাজ কর্তে পারে বলে কেরাণীগিরিতে আজ মান্দ্রাজী।