১॥৴৹
নহে, পরন্তু এই প্রারম্ভাবস্থায় তাঁহারা যে নূতন তথ্যের আবিষ্কার করিয়াছেন, তাহা বিজ্ঞানচর্চ্চাগর্ব্বিত য়ুরোপীয়গণেরও বিস্ময়োৎপাদন করিয়াছে।
তীক্ষ্ণ পর্য্যবেক্ষণশক্তি ও ঘটনার কারণনিরূপণের ইচ্ছা প্রফুল্লচন্দ্রের পঠদ্দশাতেই প্রতিভাত হইয়াছিল। এডিন্বরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রাবস্থায় তিনি এক শ্রেণীর নূতন যৌগিক পদার্থ (Conjugated Sulphates of the Copper Magnesium Group) আবিষ্কার করেন। এই গবেষণার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ত্তৃপক্ষ যে তাঁহাকে তথাকার সর্ব্বোচ্চ সম্মান ডি-এস্-সি ডিগ্রী প্রদান করেন, তাহা পূর্ব্বেই বলা হইয়াছে।
নাইট উপাধি লাভ, বিলাত যাত্রা, দেশসেবা, দানশীলতা, জাতীয় শিক্ষা ও রাজনীতি ক্ষেত্র।
বিগত জার্ম্মাণ-যুদ্ধের সময়, যুদ্ধ চালাইবার জন্য বহুপরিমাণে গোলাগুলি ও বারুদের প্রয়োজন হইয়াছিল। সেই সময় বেঙ্গল-কেমিক্যাল ভারত সরকারকে বহু পরিমাণে ঐ সকল জিনিষ সরবরাহ করে। যুদ্ধে এই সাহায্যের জন্য ও মৌলিক গবেষণার জন্য সম্রাট্ বেঙ্গল কেমিক্যালের নেতা আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্রকে ‘স্যার’ উপাধিতে বিভূষিত করেন। উচ্চাঙ্গের রসায়ন-চর্চ্চা করিবার জন্য ১২৯১ সালের আগষ্ট মাসে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য্য রায়কে বিলাতে প্রেরণ করেন। খুলনা জেলা ব্যাপী যখন ভীষণ দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়াছিল—সেই সময় আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র দেশের লোকের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করিয়া তিন লক্ষ টাকা