“Empire of business” এ বারংবার বলা হইয়াছে যে সর্ব্ব নিম্ন স্তর হইতে আরম্ভ কর। আমাদিগের যুবকগণের মধ্যে হীনতা স্বীকার করিয়া কৃতিত্ব অর্জ্জনের যে কষ্ট তাহা সহিবার শক্তি নাই। প্রায়ই দেখি, কর্ম্ম-শিক্ষাভিলাষী যুবক কোন প্রকারে ১।১॥০ মাস নানা বিভাগের কর্ম্ম কোন প্রকারে একবার চোখ বুলাইয়াই, একটি departmentএর head হইয়া Table Fan ও Secretariat Table পাইবার আবদার আরম্ভ করেন। এ প্রকার ধৈর্য্যহীনতার অবশ্যম্ভাবী পরিণাম যাহা তাহাতো সকলেই দেখিতেছি।
ইংরেজী প্রথমশ্রেণীর M. A. মাড়োয়ারীর Correspondence clerk সুন্দর সেক্সপীয়র মিল্টনের গৎ আওড়ে তার নাগরীর তর্জ্জমা কর্ছেন! তাই বলি, ঘোড়া বেকুব না সোয়ার বেকুব। কে বুদ্ধিমান—যে চালায় না যে চলে? রামযশ আগড়ওয়ালার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম—কথাবার্ত্তা হিন্দিতেই হ’ল। দেখি—এর বুদ্ধিমত্তা অদ্ভুত। তিনি প্রথমে সামান্য ফেরীওয়ালা ছিলেন। পরে মুদীর দোকান করেন। এখন ক্রোড়পতি—তাঁর জন্য Railwayএর Siding বহু ব্যয়ে নির্মিত হয়। খড়্গ প্রসাদ শীতল প্রসাদ banker (রাজা মতিলাল এঁদেরই আত্মীয়) একখানা সামান্য তুলোট কাগজের কোণ ছিঁড়ে দুর্ব্বোধ্য নাগরীতে কি লিখে দিলেন—এর ব্যাঙ্ক সমস্ত ভারতবর্ষে—সেই কিম্ভুতকিমাকার লেখার জোরে দেখাবামাত্র টাকা মিলে।
কেবল মসীজীবি হলেই কি বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ হয়? অনেক বাঙালী তো partnershipএ ব্যবসা করেন। এক অংশীর অসুখ কিম্বা কোন কারণে চোখের আড়াল হলে কি হয়? আমাদের বুদ্ধিবৃত্তির অত্যুত্তম বিকাশের দরুণ ব্যবসা হয় মাটি—আর এরা New York, Uganda, Kenya থেকে ক্রোড় ক্রোড় টাকা করছেন, অংশীদারে