Undergraduateদের ছমাস ছুটী। Post graduateদের বছরে সাত মাস। শ্রীযুক্ত আশু বাবু হিসাব করে বলেছেন এম-এ ক্লাসে বছরে ১৫০ দিনের বেশী পড়ান হয় না। আমি ছুটীর সময় ছাত্রেৱা কিরূপে সময় যাপন করে তা’ সন্ধানী রেখে জেনেছি। আমাদের পল্লীগ্রামের বাড়ীতে আমার সঙ্গের ছাত্রদের মধ্যেও দেখি দুপুর বেলায় একখানি বই হাতে নিয়ে ঝিমুতে ঝিমুতে নিদ্রা দেবীর স্মরণ নেওয়া। একজন সবল সুস্থ যুবক যে কেমন করে বহুমূল্য সময় এই রকম করে নষ্ট করে তা আমার বুদ্ধির অগম্য। ছুটীর সময় বাইরের বই রাশি রাশি পড়ে Syllabus এর সঙ্কীর্ণতা কেন দূর কর না? দেশে তো কাজ করিবার মতো কাজের কিছু অভাব নাই, ছুটির সময় এগুলি করিলে হয় না? নিরক্ষরের সংখ্যা এদেশে এমন কিছু কম নয়—এদের মধ্যে জ্ঞান বিস্তারের প্রয়োজন নাই এমন তো নয়। দীন মজুরদের সংসর্গ ভাল লাগে না? কেন লাগ্বে? প্রাসাদোপম hostelএ থেকে, আড্ডা দিয়ে বায়স্কোপে দিন কাটিয়ে কি আর পাড়াগাঁয়ে গিয়ে এদের নিয়ে ভাল লাগ্তে পারে? পল্লীই হচ্ছে আজ আমাদের বিস্তীর্ণ কর্ম্মক্ষেত্র। ইংরাজ বালক মায়ের কোলেই (by the fire side) বা কত শেখে! কত পত্রিকা তাদের জ্ঞানস্পৃহা বৃদ্ধি করিবার জন্য। তারা বড় হয়ে স্কুল কলেজে যেয়ে জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে। তারা books of adventureএ ভ্রমণ বৃত্তান্ত পড়ে কত কৌতূহলী হয়। আমাদের কোন শিক্ষিত যুবককে যদি Livingstoneএর কথা জিজ্ঞাসা করা যায় তাঁরা বিশেষ কিছু বলতে পারবেন না। এই তো হিমালয়ের দুরধিগম্য শৃঙ্গে আরোহণের সেদিন কত চেষ্টা হল, কয়জন যুবক তার বিবরণ পাঠ করেছেন। এই যে বিমানচারীরা কলিকাতা হতে রেঙ্গুন যাত্রা করেছিলেন এঁদের খবর জানবার জন্য কয়জনের প্রাণে আগ্রহ
পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৩২
আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী