সর্ব্বাপেক্ষা সর্ব্বনাশ এই উড়ুউড়ু মনের জন্যই হয়েছে। আমাদের ভাবপ্রবণ প্রাণে আবেগ উচ্ছ্বাসের অন্ত নাই। খড়ের আগুনের মতো আমাদের উৎসাহ বহ্নি দপ্ করে যেমন জ্বলে উঠে, নিব্তেও তার দেরী হয়না তেম্নি। লাগপড় হয়ে লেগে না থেকে সিদ্ধি কবে কে লাভ করেছে? আজকাল ছাত্রদিগের কাহাকে কাহাকেও যদি জিজ্ঞাসা করা যায় “ওহে তুমি ল’ পড়ছ নাকি?” অমনি যেন কৈফিয়ত দেবার জন্য অতি ব্যগ্র হয়ে উত্তর করে থাকেন “আজ্ঞে হাঁ, পড়ছি কিন্তু ওকালতি করব না।” অথচ, কত বই কিন্তে হচ্ছে কত টাকা খরচ কর্তে হচ্ছে। আমাদের কেবলি দুমনা হয়ে কাজ করা। এইরূপে জীবনের শ্রেষ্ঠ অংশ আমরা মনঃস্থির করতে না পেরে ইতস্ততঃ ভাসমান হয়ে বেড়াতে থাকি এবং তার অবশ্যম্ভাবী ফল যদি বিফলতা আসে তবে কাহাকে দোষ দিব?
মাড়োয়ারীরা ছাতুখোর, কিন্তু তারা জয়ী হয়। তার কারণ তারা আমাদের মতো অত বেশী বুদ্ধিমান নয়। অতশত অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা করে আট ঘাট, অন্ধি-সন্ধির সন্ধান নিতে নিতেই গ্রাস তাদের মুখছাড়া হয় না। তারা ‘মন্ত্রের সাধন কিম্বা শরীর পতন’। তাদের ঝাড়ু দিতেও আপত্তি নেই, দরকার হলে এক আধমণ মোট বইতেও লজ্জা নাই।
একজন বাঙালী কর্ম্মচারী আমায় বল্ছিলেন (তিনি ইংরেজ আফিসে কাজ করেন) তিনি সেদিন বড় লজ্জা পেয়েছেন। ঘর থেকে একটা জিনিষ সরাবার প্রয়োজন হয়েছিল। তিনি বেহারার সন্ধান না পেয়ে ইতস্ততঃ কর্ছিলেন। আফিসের বড় সাহেব এসে দেখে নিজেই আস্তিন গুটিয়ে যখন লেগে গেল তখন সেই বাঙালী লজ্জা পেয়ে নিজেও লেগে যেতে বাধ্য হলেন। তাই আমি বলি, কাজে