দাঁড়িপাল্লা ধরা থেকে লেগে যাও। দোকান করতে হলে বাঙালী দোকানদারের অবস্থা সাক্ষী গোপালের মতো; একজন কর্ম্মচারী বেহারা না হ’লে চলে না। ছোট স্তর গুলি এড়িয়ে এরা একেবারে হাতে স্বর্গ পেতে চান। আমরা আইনও পড়ি, ব্যবসায়ও করি। এটা যদি না হয় তবে ওটা ধরব। এইরূপ পাটোয়ারী বুদ্ধিই আমাদের সর্ব্বনাশের প্রধানতম হেতু। বিফলতা জীবনে আসেই। যার জীবনে বিফলতা আসেনি সে তো fair weather sailor. বাধা বিঘ্ন বিপদ অতিক্রম করাতেই তো প্রকৃত মনুষ্যত্ব। লাভ করতে গেলে লোকসান দিতে হয়। তাই বলে অতি বুদ্ধিমানের মতো অত অন্ধিসন্ধি এঁটে চলার পরিণাম আমাদের বাঙালী জীবনই তার উদাহরণ। বিফলতা আমাদের অকেজো করে কিন্তু জীবনে যারা জয়ী হয়েছে—বিফলতার উপর ভিত্তি করেই তাদের সৌভাগ্যের প্রাসাদ রচিত।
সম্প্রতি U. P. Governmentএর Chemical Examiner, Dr. Hankin একখানি বই লিখেছেন “Mental limitations of the Experts” এই বই থেকে কিছু বচন উদ্ধৃত করছি। এই পুস্তকের প্রতিপাদ্য বিষয় এই যে যাঁরা বিশেষজ্ঞ তাঁরা টোলো পণ্ডিত। ঘটত্ব পটত্ব আলোচনায় বিশেষজ্ঞের এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে চলে যাওয়া কিন্তু নূতন নয়। ইংরাজীতে dunce কথাটার অর্থের উৎপত্তি বড়ই কৌতুকাবহ। Duns Scotus ব’লে ইউরোপে আমাদের নবদ্বীপের নৈয়ায়িকদেরই এক বিশিষ্ট সংস্করণ ছিলেন। Scholastic philosophyর ইতিহাসে ইনি প্রসিদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এঁর ছাত্রদিগকে লোক dunce বল্ত—অর্থাৎ followers of Duns Scotus. এঁদের পাণ্ডিত্যের জোরে কথাটার