পাতা:আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী.djvu/২৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষাবিষয়ক কয়েকট কথা ૨૩૧ বিদ্যাদানের বিষয়ে আমাদিগকে এরূপ অমনোযোগী হইলে চলুিবেনা। ইহার উপর আমাদের জাতীয় জীবনের সমগ্র ভবিষ্যৎ নির্ভর করিতেছে। যাহাতে শিক্ষকদিগের অর্থকষ্ট দূর হয় তাহার জন্য সকলের চেষ্টা করা উচিত। স্কুলের সংখ্যা ধাহাতে আরও বৃদ্ধি পায়, শিক্ষা যাহাতে আরও বিশেষ করিয়া জনসাধারণের অনায়াসুলভ্য হইয় উঠে, তাহার জন্য চেষ্টা করা আমাদের প্রত্যেক শিক্ষিত ব্যক্তির কর্ত্তব্য । পুরাকালে মুধ্যাপকেরা যেরূপ অল্পে সন্তুষ্ট থাকিতেন, এখনও যে তাহারা তাহাত্ত্বেই সন্তুষ্ট থাকিবেন, তাহা আশা করা অন্যায় । সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে আমাদের জীবনযাপনের প্রণালীরও যথেষ্ট পরিবর্তন হইয়াছে। অনেক নূতন নূতন আকাঙ্ক্ষা আমাদের মনে জাগিতেছে * অভাবও বাড়িয়া চলিয়াছে । সুতরাং এখন আর সেরূপ অল্প টাকায় কাহারও চলিতে পারে না'। শিক্ষকদিগের বেতন না বাড়াইলে আমরা যোগ্য শিক্ষকের আশা করিতে পারি ন! ! নিজেদের অল্প চিন্তার জন্য যদি তাহাদিগকে ব্যস্ত থাকিতে হয় তবে শিক্ষকের কিরূপে প্রশান্তভাবে শিক্ষাকার্ষ্যে মনোনিবেশ করিবেন ? ইহাও আমুদের মনে রাখিতে হইবে যে, যে কার্ষ্যে র্তাহারা ব্যাপৃত আছেন তাহ অতি মহৎ কার্য্য । সমগ্র জাতির ভবিষ্যৎ র্তাহীদের উপর পরোক্ষভাবে নির্ভর করিতেছে। অর্থের দিক দিয়া সমাজে উল্লিদের সম্মান কি আসন ঠিক করিলে চলিকে না। যে গুরুভার তাহদের উপর ন্যস্ত সে দিকে আমাদের, দৃষ্টি থাকা চাই । আমাদের বুঝিতে হইবে, যে, ইহার ন্যায় মহৎ কার্ধ্য আর নাই। র্যাহারা এই .কার্ধ্যে মন ঢালিয়া দিয়াছেন, তাহারা সকলের পূজ্য ও শ্রদ্ধার পাত্র।